• ঢাকা
  • সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩০, ১৩ রজব ১৪৪৬

২৮ হাজার বছর পরও অবিকল সেই সিংহশাবক


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২১, ০৩:৪৭ পিএম
২৮ হাজার বছর পরও অবিকল সেই সিংহশাবক

বনের রাজা সিংহ। সিংহশাবকও রাজার মতোই বেড়ে উঠে। যে কোনও পরিস্থিতিতেও তারা রাজাই হয়ে থাকেন।আরও একবার এর প্রমাণ মিলল। সম্প্রতি সাইবেরিয়ায় বরফস্তূপের নিচে দেখা মিলল সিংহশাবকের। যার দেহ দেখে বিস্মিত হয়ে গেছেন বিজ্ঞানীরা।

বরফে আচ্ছাদিত থাকে সাইবেরিয়ার আর্কটিক অঞ্চল। সেখানেই বরফস্তূপে বহুযুগ ধরে ঢাকা পড়ে ছিল সিংহশাবকটি। অবাকের বিষয় হলো, এত যুগ আগের সিংগশাবকের দেহে কোনও বিকৃতি ঘটেনি। দেখে মনে হবে সাধারণভাবেই ঘুমিয়ে রয়েছে ছোট এই শাবকটি।

সাইবেরিয়ায় এই প্রজাতির এই সিংহের বাস ছিল পাহাড়ের গুহায়। সম্প্রতি রাশিয়ার ফার ইস্ট অঞ্চলে একটি নদীর পারে এই দু'টি সিংহশাবকের দেহের সন্ধান পান এক দল গবেষক। 

বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রাণীটি ২৮ হাজার বছর আগের। এর নাম স্পার্টা। দীর্ঘ সময় বরফের নিচে থাকায় এর সোনালি রঙের লোমে শুধু খানিকটা জট বেঁধে গেছে। এছাড়া বাকি সবকিছুই স্বাভাবিক। এতটাই স্বাভাবিক ছিল যে, শাবকটির দাঁত, ত্বক ও শরীরের 'সফট টিসু' এবং অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মমি করে রাখা সম্ভব হয়েছে। এমনকি তার নখগুলো এখনও বেশ ধারালো!

স্পার্টার মৃতদেহ থেকে কিছুদূরে আরও এক সিংহশাবকের দেখা মেলে। তার নাম বরিস। তবে বরিসের দেহে কিছুটা ক্ষতির চিহ্ন ছিল।

বিজ্ঞানীরা বলেন, স্পার্টার মৃতদেহ থেকে বরিসের দেহটি ১৮ মিটার দূরত্বে ছিল। সিংহশাবক দুটি একই মা-সিংহের পেটে জন্মেছিল বলে ধারনা করা হচ্ছিল। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, দু'টি শাবকের বয়সের পার্থক্য ১৫ হাজার বছর।

বিজ্ঞানীদের মতে, সিংহশাবক দুটি যখন মারা যায়, তখন তাদের বয়স ছিল ১-২ মাস।

সিংহশাবকগুলো নিয়ে বিশদ গবেষনা চালান বিজ্ঞানীরা। গবেষণার লেখক ও সুইডেনের স্টকহোমের প্যালিওজেনেটিকস সেন্টারের অধ্যাপক বলেছেন, "এখন পর্যন্ত বরফযুগের যেসব প্রাণীর মৃতদেহের সন্ধান পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে স্পার্টাই ছিল সবচেয়ে অক্ষত।"

 

সূত্র:সাইবেরিয়ান টাইমস

Link copied!