চরম অর্থনৈতিক সংকটে থাকা পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমছেই। ৯ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো দেশটির রিজার্ভ নেমে এসেছে ৩০০ কোটি ডলারের নিচে। এ মজুত দিয়ে দিয়ে দুই সপ্তাহের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।
দ্য ডন জানিয়েছে, স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের ৩ ফেব্রুয়ারি দেওয়া হিসাব অনুসারে, দেশটিতে মজুত বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ ২৯০ কোটি ডলার। ঋণ পরিশোধ করতে গিয়েই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।
পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে অর্থ চায়। এ নিয়ে কথাবার্তাও হয়েছে। আইএমএফের অর্থ ছাড় পেলে পাকিস্তানের পক্ষে অন্য উৎসগুলো থেকেও ঋণ পাওয়া সহজ হবে। আর এর ফলে দেশটির অর্থনীতিতে গতি আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আইএমএফ অবশ্য ঋণ দেওয়ার জন্য বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে। এর মধ্যে আছে স্থানীয় মুদ্রার জন্য বাজার-নির্ধারিত বিনিময় হার এবং জ্বালানি ভর্তুকি কমিয়ে দেওয়া। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি বিনিময় হারের ওপর একটি সীমা তুলে দিয়েছে এবং সরকার জ্বালানির দাম ১৬ শতাংশ বাড়িয়েছে।
বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ার ফলে পাকিস্তানের ঋণখেলাপি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।
আপনার মতামত লিখুন :