• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দেনার দায়ে স্ত্রীর গয়নাও বিক্রি করেছিলেন মুকেশ আম্বানির ভাই


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০২৪, ০৩:১৪ পিএম
দেনার দায়ে স্ত্রীর গয়নাও বিক্রি করেছিলেন মুকেশ আম্বানির ভাই
বাবা ধীরুভাই আম্বানির সঙ্গে দুই ভাই মুকেশ ও অনিল। ছবি : সংগৃহীত

ব্যবসায়ী পরিবারে বেড়ে ওঠা অনিল আম্বানির। বাবা ছিলেন বিত্তবান শিল্পপতি ধীরুভাই আম্বানি। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ব্যবসায়ে নামেন তিনি। সফলও হন। আবার ব্যর্থতার অন্ধকারও গ্রাস করেছিল তাকে। কথায় আছে, উত্থান-পতন নিয়েই জীবনের পথচলা। অনিল অম্বানির জীবনটা যেন তেমনই।

বিখ্যাত ব্যবসায়ী ধীরুভাই অম্বানীর কনিষ্ঠ পুত্র অনিল। ভাই মুকেশ আম্বানিও ব্যবসায়ে আলাদা ছাপ রেখেছেন। এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি।

তবে একটা সময় ব্যবসায়িক সাফল্যে ভাইকেও ছাপিয়ে গিয়েছিলেন অনিল। মুকেশ আম্বানির থেকেও বেশি সম্পত্তির মালিক ছিলেন ধীরুভাইয়ের কনিষ্ঠ পুত্র।

এখন মুকেশ আম্বানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৭.৬ লাখ কোটি টাকারও বেশি। অথচ একদা সম্পত্তির নিরিখে ভাইকে টপকে গিয়েছিলেন অনিল। রিলায়ান্স সংস্থার অর্ধেক মালিকানা ছিল অনিলের হাতে।

বিশ্বের প্রথম ১০ জন বিত্তবানের তালিকায় ৬ নম্বরে ছিলেন অনিল। সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি।

২০০৮ সালে অনিলের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৩.৫ লাখ কোটি টাকা। সেই সময় টাকার অঙ্কে মুকেশকে ছাপিয়ে গিয়েছিলেন অনিল।

২০০২ সালে প্রয়াত হন ধীরুভাই। তার পরই দুই ভাইয়ের মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে ওঠে। সেই সময় দুই ভাইয়ের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে।

তবে সেই সময়ও মুকেশ আম্বানির থেকে বিত্তবান ছিলেন অনিল। শুধু তা-ই নয়, সেই সময় অনিলের বিলাসবহুল জীবনযাপনও নজরকাড়া ছিল।

সাফল্য আর ব্যর্থতা নিয়েই জীবন। অনিলের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। নানা বিতর্ক তো ছিলই, সেই সঙ্গে একের পর এক বিনিয়োগে মুখ থুবড়ে পড়েছিলেন অনিল।

দক্ষিণ আফ্রিকার একটি সংস্থায় ১৬ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন অনিল। কিন্তু সফল হননি। এর জেরে বিপুল দেনার দায়ে পড়ে ধনকুবেরের সংস্থা।

একের পর এক বিনিয়োগে ব্যর্থতার সঙ্গে সঙ্গে অনিলের ঘাড়ে বাড়ছিল দেনার বোঝা। যা মেটাতে হিমশিম খেতে হয় তাকে।
চীনের ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়েছিল অনিলের সংস্থা রিলায়ান্স কমিউনিকেশনস লিমিটেড। অভিযোগ, ঋণ শোধ করে দেবেন বলে ব্যক্তিগতভাবে গ্যারান্টি দিয়েছিলেন অনিল। প্রথম দিকে কয়েক দফায় ঋণের কিস্তিও জমা দিয়েছিল তার সংস্থা। কিন্তু আচমকাই তা বন্ধ হয়ে যায়।
ঋণের ভারে একসময় দেউলিয়া হয়ে যান অনিল। একসময় যিনি কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক ছিলেন, সেই তারই পকেট ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল।
২০২০ সালে অনিলকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়। শোনা যায়, আইনি মামলায় লড়ার টাকা জোগাড় করতে বাড়ির গয়নাও বিক্রি করতে হয়েছিল তাকে।

Link copied!