• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সৌদিতে হিটস্ট্রোকের শিকার সাড়ে ৬ হাজার হজযাত্রী


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২৩, ০৯:৫০ পিএম
সৌদিতে হিটস্ট্রোকের শিকার সাড়ে ৬ হাজার হজযাত্রী

সৌদি আরবে পবিত্র হজ চলাকালীন সময়ে প্রচণ্ড গরমে তিন দিনে হিট ও সানস্ট্রোকের শিকার হয়েছেন সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি হজযাত্রী। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ভোরে মক্কার কাছে মিনা উপত্যকায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। গত ৩৯ দিনে মক্কা ও মদিনায় গরমে অসুস্থ হয়ে পড়া এক লাখ ১১ হাজার ৭৬১ জন হাজিকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়েছে।

এখবারিয়া টিভির সরাসরি সম্প্রচারিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়া এক সৌদি নিরাপত্তাকর্মী একজন হাজির চোখে-মুখে ঠান্ডা পানি ছিটাচ্ছেন।

সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, এ বছর প্রায় ১৮ লাখের বেশি মুসলমান হজ পালন করছেন। তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এবার হজে প্রতীকীভাবে শয়তানের উদ্দেশে পাথর মারার পর্ব সম্পাদনের জন্য অনুকূল সময় বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সরাসরি সূর্যের আলো এড়িয়ে চলা এবং পর্যাপ্ত পানি পান করতেও পরামর্শ দিয়েছিল।

গালফ নিউজকে ড. আবদুল আলী বলেন, “গরম ও তাপজনিত কারণে হিটস্ট্রোকের শিকার সব রোগীকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ রকম পরিস্থিতির জন্য আমাদের প্রস্তুতি ছিল। সৌদির সরকার আল্লাহর অতিথিদের সর্বোচ্চ সেবাদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

মধ্যপ্রাচ্যের মরু আবহাওয়ার দেশ সৌদি আরবে শীতকালের ২-৩ মাস ব্যতীত সারা বছরই গরম থাকে। তবে মে-জুন-জুলাই মাসে তাপমাত্রা থাকে সর্বোচ্চ। এই তিন মাসের প্রায় প্রতিদিনই সৌদির গড় তাপমাত্রা থাকে ৪২ ডিগ্রি থেকে ৪৫ ডিগ্রির মধ্যে।

আরবি চান্দ্র বর্ষপঞ্জির শেষ মাস জিলহজের ৮ তারিখ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় হজ, শেষ হয় ১০ তারিখ পশু কোরবানির মধ্যে দিয়ে। চাঁদের গতিবিধির ওপর ভিত্তি করে আরবি বছর গণনা হওয়ার কারণে প্রতি বছরই ১০ দিন করে এগিয়ে আসে হজের সময়সূচি।

চলতি বছর এমন এক সময়ে পড়েছে হজের মৌসুম, যখন সৌদিতে পুরোপুরি গ্রীষ্মকাল। সৌদি সরকার অবশ্য হজযাত্রীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের জন্য মক্কা ও মদিনার ৩২টি হাসপাতাল ও ১৪০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৩২ হাজার ডাক্তার-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী সার্বক্ষণিকভাবে মোতায়েন রেখেছিল।

Link copied!