• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫
চীন-মার্কিন চিপ যুদ্ধ

রপ্তানিতে জাপানের বিধিনিষেধ আরোপ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৩, ০৩:৫৯ পিএম
রপ্তানিতে জাপানের বিধিনিষেধ আরোপ

একবিংশ শতকের শুরু থেকেই নানাবিধ বিষয় নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। এমনই বিবদমান দুই দেশ হলো চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। যদিও এই দুই দেশ এখনো সরাসরি যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়নি। তবে এই দুই দেশের মধ্যে কার্যত ঠান্ডা লড়াই (কোল্ড ওয়ার) চলছে।

সবার অগোচরে একটি মহামূল্যবান সম্পদ নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে লড়াই জমে উঠেছে উভয়ের মধ্যে। এই মূল্যবান সম্পদ হচ্ছে সেমিকন্ডাক্টর বা চিপ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বিরোধের অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হয় সেমিকন্ডাক্টর বা চিপ সংকটকে।

চিপ রপ্তানিতে আধিপত্য বজায় রাখার কারণে ওয়াশিংটনকে ‘টেক হেজিমনি’ হিসেবে আখ্যা দেয় বেইজিং। আর এ প্রতিযোগিতায় চীনকে পেছনে ফেলতে যুক্তরাষ্ট্র ও নেদারল্যান্ডস চিপ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও নেদারল্যান্ডসের পর এবার কম্পিউটার চিপ তৈরির সরঞ্জাম রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপের পরিকল্পনা করছে জাপান। শুক্রবার (৩১ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় দেশটির সরকার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

পরিকল্পনা অনুসারে, ২৩ ধরনের সেমিকন্ডাক্টর তৈরির সরঞ্জাম রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করবে দেশটি। মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে সামরিক হার্ডওয়্যার পর্যন্ত প্রায় সব ধরনের ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম তৈরিতে প্রয়োজন হয় সেমিকন্ডাক্টর। চলতি বছরের জুলাই মাসে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে টোকিও।

জাপানের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে একটি প্রযুক্তিগত জাতি হিসেবে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি।

এ বিষয়ে টোকিওর বাণিজ্যমন্ত্রী ইয়াসুতোশি নিশিমুরা বলেন, “সামরিক সরঞ্জামের বদলে অন্য সব প্রযুক্তিতে এই চিপ ব্যবহার করা হবে। ফলে এর প্রভাব খুব একটা টের পাবে না টেক জায়ান্টগুলো।”

গত বছর অক্টোবরে ওয়াশিংটন ঘোষণা দেয়, মার্কিন সরঞ্জাম বা সফটওয়্যার ব্যবহার করে প্রস্তুতকৃত চিপগুলো চীনে রপ্তানি করতে যেকোনো কোম্পানিকে লাইসেন্স নিতে হবে। চলতি বছর মার্চে নেদারল্যান্ডসও চিপ সরঞ্জাম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়।

বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বের কম্পিউটারগুলো চলে চিপের সাহায্যে। মুঠোফোন থেকে শুরু করে রান্নাঘরের ফ্রিজ কিংবা গাড়ি কোম্পানির উৎপাদন প্রতিটি অংশই সেমিকন্ডাক্টর নামে পরিচিত অতি ক্ষুদ্র, জটিল এই ডিভাইসগুলোর ওপর নির্ভর করে।

এই সেমিকন্ডাক্টরগুলো উৎপাদন করাও বেশ জটিল। একই সঙ্গে এটি উৎপাদন করতে এই বিষয়ে দক্ষ বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজন পড়ে, তাদের মধ্যে আবার দারুণ কাজের সমন্বয়ও জরুরি। সিলিকনের এই ক্ষুদ্র টুকরোগুলোকে ঘিরে রয়েছে সারা বিশ্বে ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিশাল ব্যবসা, যা ২০৩০ সালের মধ্যে আরও দ্বিগুণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Link copied!