• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
মাশা আমিনির মৃত্যুর খবর প্রচার

কারাদণ্ড পাওয়া দুই নারী সাংবাদিককে মুক্তি দিয়েছে ইরান


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২৪, ০১:০৯ পিএম
কারাদণ্ড পাওয়া দুই নারী সাংবাদিককে মুক্তি দিয়েছে ইরান
মুক্তিপাওয়া দুই সাংবাদিক নিলুফার হামেদি ও এলাহেহ মোহাম্মদী (ছবি সংগৃহীত)

ইরানের কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির (২২) মৃত্যুর খবর প্রচার করায় কারাদণ্ড পাওয়া দুই নারী সাংবাদিক মুক্তি পেয়েছেন। এক বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে থাকার জামিনে মুক্তি পান তারা।

ইরানি গণমাধ্যম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। মুক্তি পাওয়া দুই নারী সাংবাদিক হলেন নিলুফার হামেদি (৩১) ও এলাহেহ মোহাম্মদী (৩৬)।

দুই নারী সাংবাদিক তাদের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। আপিলের বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তারা জামিনে মুক্ত থাকবেন বলে খবরে বলা হয়।

নিলুফার হামেদি ইরানের সংস্কারপন্থী পত্রিকা শার্ঘে কাজ করতেন। তিনিই প্রথম মাসা আমিনির মৃত্যুর খবর প্রচার করেন।

মাসা আমিনির মৃত্যুর কথা জানার পর তার বাবা ও দাদি পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছিলেন। এই দৃশ্য ধারণ করেন নিলুফার হামেদি। পরে তিনি এই ছবি অনলাইনে পোস্ট করেন। ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘শোকের কালো পোশাক আমাদের জাতীয় পতাকায় পরিণত হয়েছে।’

এলাহেহ মোহাম্মদী দেশটির আরেক সংস্কারপন্থী হাম-মিহান পত্রিকায় কাজ করতেন। তিনি মাসা আমিনির নিজ শহরে তার দাফন-কাফনের খবর সংগ্রহ ও প্রচার করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, কীভাবে শত শত শোকার্ত মানুষ মাসা আমিনির জন্য কেঁদেছিলেন, তাঁরা কীভাবে ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’ বলে প্রতিবাদী স্লোগান দিয়েছিলেন।

২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানী তেহরানে ইরানের কঠোর ইসলামি পোশাকবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নীতি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন মাসা আমিনি। ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি পুলিশি হেফাজতে মারা যান। তার মৃত্যুর জেরে দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে তা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পরপরই দুই নারী সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে ইরানের কর্তৃপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ আনা হয়। এ ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগও আনা হয়। নিলুফার হামেদি ও এলাহেহ মোহাম্মদীর যথাক্রমে ১৩ ও ১২ বছর করে কারাদণ্ড হয়।

Link copied!