• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় ৫ পুলিশ সদস্য নিহত


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০২৩, ০৩:১৭ পিএম
পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় ৫ পুলিশ সদস্য নিহত

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখওয়া প্রদেশে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক জঙ্গি হামালার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১২ বেসামরিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

দেশটির ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ডন’ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিটের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় আত্মঘাতী হামলাকারীরা ৭ থেকে ৮ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করেছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে খাইবার জেলার বড় বাজার থানাসংলগ্ন তেহশিল সদর দপ্তরের প্রবেশপথে পুলিশ সদস্যরা দুই আত্মঘাতী বোমারুকে প্রবেশে বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের বন্দুক লড়াই শুরু হয়।

এ সময় এক জঙ্গি নিহত হলে অপরজন আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায়। বিস্ফোরণের ধাক্কায় তেহশিল ভবনের একটি অংশ ধসে পড়ে। ঘটনাস্থলেই তিন পুলিশ সদস্য নিহত এবং ৭ পুলিশসহ ১০ জন আহত হন।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান সেলিম আব্বাসি জানান, সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে আগেই খবর পেয়েছিলেন তারা, তাই পুলিশ উচ্চ সতর্কাবস্থায় ছিলেন। ফলে এলাকাটি বড় ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ থেকে রক্ষা পেয়েছে।

দপ্তরটিতে প্রতিদিন বহু লোক আসে জানিয়ে তিনি বলেন, “গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করায় বহু প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।”

ঘটনাস্থল থেকে একটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। তেহশিল সদর দপ্তরে পৌঁছাতে হামলাকারীরা এটি ব্যবহার করেছে বলে ধারণা পুলিশের।

দ্য ডন জানিয়েছে, আক্রান্ত তেহশিল ভবনটিতে কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি) ও জেলা প্রশাসনেরও দপ্তর আছে।

হামলায় আহত সবাইকে পেশোয়ারের সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত এক পুলিশ সদস্যের অবস্থা সংকটজনক।

এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে বুধবার (১৯ জুলাই) রাত পৌনে ১২টার দিকে পেশোয়ারের রেজি মডেল টাউনে পুলিশের এক ফাঁড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। জঙ্গিদের গুলিতে দুই পুলিশ সদস্য নিহত ও দুজন আহত হন।

পুলিশ কর্মকর্তাদের ধারণা, হামলার সময় জঙ্গিরা নাইট ভিশন গ্যাজেট ব্যবহার করেছে।

পুলিশ সুপার (এসপি) আরশাদ খান ডনকে বলেছেন, “আমাদের সদস্যরা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও বুলেটপ্রুফ হেলমেট পরা ছিল আর জঙ্গিরা প্রায় ৫০ মিটার দূরে থেকে গুলি ছুড়েছে। রাতের অন্ধকারে মাথায় গুলি ও কপালে নিখুঁত দুটি লক্ষ্যভেদ শুধু নাইট ভিশন গ্যাজেট ব্যবহার করেই করা সম্ভব।”

তিনি জানান, জঙ্গিরা পুলিশের ওপর হামলা চালাতে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এম-ফোর রাইফেল ব্যবহার করেছে, তদন্তকারীরা ঘটনাস্থল থেকে এম-ফোরের গুলির ২১টি খোসা উদ্ধার করেছে।

জঙ্গিদের গুলির জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়েছিল, কিন্তু হামলাকারীরা পালিয়ে যায় বলে জানান তিনি।

Link copied!