• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

তুরস্ক উপকূলে আবারও নৌকা ডুবে ১৯ অভিবাসীর মৃত্যু


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২৩, ০২:৪৯ পিএম
তুরস্ক উপকূলে আবারও নৌকা ডুবে ১৯ অভিবাসীর মৃত্যু

উন্নত জীবনের খোঁজে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে যাওয়ার সময় তুরস্কের উপকূলে নৌকা ডুবে সাব-সাহারা আফ্রিকা থেকে আসা কমপক্ষে ১৯ শরণার্থী ও অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ আরও ৩৪ জন।

রোববার (২৬ মার্চ) আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। ভোরের দিকে এসব মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। ইতালির আনসা বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই হাজারের বেশি আশ্রয়প্রার্থী ইতালীয় দ্বীপ ল্যাম্পেডুসায় পৌঁছেছে। একে শরণার্থী আগমনের ‘রেকর্ড’ হিসেবে বর্ণনা করেছে তারা।

ফোরাম ফর সোশ্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক রাইটস (এফটিডিইএস) কর্মকর্তা রোমধনে বেন আমোর জানিয়েছেন, স্ফ্যাক্স সৈকত থেকে যাত্রা শুরু করার পর তুরস্কের মাহদিয়া উপকূলে উদ্বাস্তু ও অভিবাসী বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেলে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তবে তুরস্কের উপকূলরক্ষীরা নৌকা থেকে পাঁচজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।

এ ঘটনায় তুরস্কের কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপগামী অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে তুরস্কের অন্যতম একটি কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। গত চার দিনে তিউনিসিয়া উপকূলে অন্তত পাঁচটি নৌকা ডুবে যায়। এতে ৬৭ জন নিখোঁজ এবং ৯ জনের মৃত্যু হয়।

তুরস্কের কোস্টগার্ড জানিয়েছে, তারা গত চার দিনে ইতালির দিকে যাওয়া প্রায় ৮০টি নৌকা থামিয়েছে এবং তিন হাজার জনেরও বেশি লোককে আটক করেছে, যাদের বেশিরভাগই সাব-সাহারা আফ্রিকান দেশ থেকে আসা।

গৃহযুদ্ধ আর অর্থনৈতিক মন্দা থেকে বাঁচতে এশিয়া, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করেন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তুরস্ক ও লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার চেষ্টার সময় নৌকা ডুবে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইউরোপে প্রবেশের জন্য তাদের প্রধান পয়েন্ট হয়ে উঠেছে পূর্ব-মধ্য তুরস্কের স্ফ্যাক্স উপকূল।

জাতিসংঘের অনানুষ্ঠানিক তথ্য অনুসারে, এ বছর যারা ইতালিতে পৌঁছেছেন তাদের মধ্যে ১২ হাজার তুরস্ক থেকে যাত্রা করেছে। ২০২২ সালে এই সংখ্যাটা ছিল ১ হাজার ৩০০। আগে অবশ্য এই অঞ্চলে অভিবাসীদের প্রধান লঞ্চপ্যাড ছিল লিবিয়া।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ গত ২১ ফেব্রুয়ারি বলেছিলেন, আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের বাসিন্দাদের অভিবাসনের লক্ষ্য হয়ে উঠেছে তুরস্কের জাতীয় পরিচয় পরিবর্তন করা। তার এই মন্তব্যে আফ্রিকা ও বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক বিতর্ক এবং সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা কাইস সাইদের এই মন্তব্যকে বর্ণবাদী উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানায়।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ইউরোপের পথে সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগরীয় এই পথকে সবচেয়ে মারাত্মক রুট হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

২০১৪ সাল থেকে এই পথে অন্তত ২৫ হাজার মানুষ নিহত অথবা নিখোঁজ হয়েছেন।

Link copied!