• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

৩০ বছর পর সন্তান ধারণের ঝুঁকি ও করণীয়


নাইস নূর
প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০২৩, ১২:৪৯ পিএম
৩০ বছর পর সন্তান ধারণের ঝুঁকি ও করণীয়
ডা. মাবরুবা সরকার শিফা

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে সন্তান ধারণের নির্দিষ্ট একটা বয়স আছে। প্রথম সন্তান নেওয়ার জন্য নারীদের ২০ থেকে ৩০ বছর উত্তম। কেননা আমাদের দেশে আবহাওয়া ও খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের কারণে ৩০ বছর বয়সের পর মা হওয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকি বাড়ছে। এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশকে পরামর্শ দিয়েছেন রাজধানীর সূর্যের হাসি ক্লিনিকের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ডা. মাবরুবা সরকার শিফা।  

গর্ভপাতের আশঙ্কা

মায়ের যদি থাইরয়েড গ্রন্থি, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ থাকে তাহলে গর্ভপাত হতে পারে।

ভ্রূণের জিনগত ত্রুটি

বয়স যত বাড়ে তত ভ্রূণের জিনগত ত্রুটি দেখা দেয়। যার কারণে ক্রোমোজোনাল ত্রুটিপূর্ণ নবজাতক হতে পারে।

গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যু

অনেক সময় গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যু এবং কম ওজনের শিশু জন্মদানসহ অনেক জটিলতা দেখা দিতে পারে।

৩০ বছর পর মা হলে যা যা করতে হবে

নিয়ম করে শরীরচর্চা করতে হবে। ইয়োগা, নিয়মিত ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি করলে এর ফলাফল অনেক ভালো হয়। ফিটনেস রুটিনে অলসতা করা যাবে না। গর্ভকালীন চার থেকে পাঁচবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে চেকআপ করাতে হবে। এ সময় হরমোনের অনেক পরিবর্তন হতে পারে, যা মন-আবেগের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তাই নিজের অনুভূতি চিকিৎসকের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে হবে। জেনেটিক অ্যাবনরমারলিটি আছে কিনা—এ জন্য এনটি স্ক্যান করাতে হবে।

আর সব চেয়ে যা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হলো, পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। যেমন মাংস, মাছ, শাকসবজি, ডিম, ঘি, ফল এবং দুধ। গর্ভকালীন পুরো সময়ে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে। 

Link copied!