• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২৩, ০৫:৩০ পিএম
স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয়

বর্তমানে সারা বিশ্বে সাধারণত নারীদের স্তন ক্যান্সারের হার বেড়েই চলছে।  চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বলছেন, সচেতন না হলে এটি মহামারির মতোই বৃদ্ধি পাবে। নিয়মিত স্তন পরীক্ষা করা, নিজেই স্তনে গুটি বা চাকার মতো হচ্ছে কিনা তা লক্ষ্য রাখা এবং কিছু সন্দেহ হলে লজ্জা না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে স্তন ক্যান্সার বৃদ্ধির হার কমানো যাবে বলে মনে করা হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক স্তন ক্যান্সারের কিছু ঝুঁকি ও প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে-

স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকির কারণ
ক্যান্সার যেকোনো বয়সে হতে পারে, তবে ২য় থেকে ৩য় টাইপের ক্যান্সার পাওয়া যায় ৫৫ বা তার বেশি বয়সের নারীদের মধ্যে। উত্তরাধিকারসূত্রে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ধূমপান, মদ্যপান, ব্যায়ামের অভাব, দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ, ভিটামিন ডি-এর অভাব, সূর্য বা ক্যান্সারজনিত রাসায়নিকগুলোর অত্যধিক এক্সপোজার এবং অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক ক্যান্সারজনিত কোষগুলোর বিকাশ ইত্যাদি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। স্তন ক্যান্সারের আরও কিছু লক্ষণ যেগুলো অনুভব করলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে-

  • অনিয়ন্ত্রিত অবসাদ 
  • অনিচ্ছাকৃত ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধি 
  • ত্বকের পরিবর্তন, যেমন হলুদ হওয়া, ত্বকের লালচেভাব দেখা যাওয়া 
  • রক্তক্ষরণ, ক্ষত বা ঘা, যা দীর্ঘসময় সারছে না 
  • অন্ত্র বা মূত্রাশয় অভ্যাস পরিবর্তন 
  • ক্রমাগত কাশি, শ্বাস নিতে সমস্যা, বদহজম বা খাওয়ার পরে অস্বস্তি 
  • খিঁচুনি বা গিলতে অসুবিধা 
  • কোনো কারণ ছাড়া রাতের যদি প্রচুর ঘাম হয়
  • পেশি বা জয়েন্টে ব্যথা না সারে।

করণীয়

  • ধূমপান এড়িয়ে চলুন। ধোঁয়ায় কার্সিনোজেনিক যৌগ রয়েছে যা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম রক্তের শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে এবং স্তনের কোষগুলো সুস্থ রাখতে ও ক্যান্সারজনিত ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
  • স্তন ক্যান্সার ঝুঁকি এড়াতে প্রতিদিন ফলমূল এবং শাকসবজি খান। শস্য, চর্বিযুক্ত প্রোটিন, দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার খেতে পারেন। মাংস, হাঁস-মুরগি এবং মাছ থেকে ত্বক এবং ফ্যাট সরিয়ে আলাদা করে খান।
  • চিনি, পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট এবং অ্যালকোহল পরিত্যাগ করুন।
  • রাসায়নিক, বিষ, সূর্য এবং অন্যান্য বিকিরণের ক্ষতিকারক রশ্মি এড়িয়ে চলুন।
  • প্লাস্টিক, প্রসাধনী, খাদ্য, পানি এবং অন্যান্য ভোক্তা পণ্যগুলো ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।
  • খাদ্য উৎপাদনে কীটনাশক, অ্যান্টিবায়োটিক এবং হরমোনের ব্যবহারও ক্যান্সার ঝুঁকি বাড়াতে ভূমিকা রাখে। তাই যথাসম্ভব এগুলো এড়িয়ে চলুন।
Link copied!