ধূমপায়ীদের জন্য হঠাৎ করে এ অভ্যাস ত্যাগ করা কঠিন। চিকিৎসকরা বার বার সতর্ক করছেন যে, সুস্থ জীবনযাপন করতে ধূমপানের অভ্যাস জীবন থেকে বাদ দিতে হবে। অনেকে আছেন যারা ধূমপান ছাড়তে চেয়েও পারছেন না। চলুন তাহলে আজ ধূমপান ছাড়ার কিছু উপায় জেনে আসি।
জীবনযাপনে পরিবর্তন আনুন
গবেষণা বলছে, আমিষ এবং মাংসজাতীয় খাবার খাওয়ার পরই মূলত ধূমপান বেশি উপভোগ্য হয়ে ওঠে। তাই ধূমপান ত্যাগ করতে চাইলে কিছু দিন বেশি করে ফলমূল ও শাকসব্জি খেতে পারেন। এ ছাড়া নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। বিশেষ করে যোগাসন, প্রাণায়ামের অনুশীলন বেশি করে করুন।
চারপাশের কথা ভাবুন
ধূমপান যিনি করেন, তার স্বাস্থ্যের ঝুঁকি থেকে যায়। তেমনই পরোক্ষ ধূমপানের ফলে আশপাশে থাকা মানুষেরও স্বাস্থ্যহানি ঘটছে। যা একেবারেই কাম্য নয়। ধূমপান ত্যাগ করে নিজেকে এবং চারপাশের মানুষজনকেও সুস্থ রাখুন। পরিবার ও সন্তানের কথা ভেবে মানসিকভাবে প্রস্তুত হন।
মদ্যপান
অ্যালকোহল মিশ্রিত পানীয়, নরম পানীয়, চা বা কফি খাওয়ার পরে যোগ্য সঙ্গত হিসাবে ধূমপান করে থাকেন। ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে চাইলে প্রথমে এই ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলুন।
চকলেট
ধূমপানের অভ্যাস বদলে ফেলুন চকলেট খেয়ে। চকলেট বা চুউইংগাম খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হলে ধূমপানের আগ্রহ চলে যাবে।
ভিটামিন সি
ধূমপানে ভিটামিন সি এর মাত্রা কমে যায় বলে বারবার সুখটানের ইচ্ছে হয়। যে কোনও ধরনের ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খান। কমলা লেবু, পাতি লেবু, বেদানা চলতেই পারে। দেখবেন, সিগারেট খাওয়ার আর ইচ্ছে জাগবে না।
নোনতা খাবার
ধূমপানের জন্য মনটা ছটফট করছে। এক চিমটে নুন মুখে দিন। কিংবা নোনতা বাদাম বা নোনতা চিপস। দেখবেন সিগারেটের তেষ্টা মিটে যাবে।
জিনসেং
অতিরিক্ত ধূমপান শরীরে ডোপামাইনের নিঃসরণ বাড়ায়। জিনসেং ডোপামাইনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। সপ্তাহে একবার জিনসেং খেলে ধূমপানের ইচ্ছে মিটে যাবে।
চিকিৎসক
যে কোনও অভ্যাস থেকে বেরোতে খানিক সময় লাগে। তবে নিজের চেষ্টায় ধূমপানের আসক্তি ত্যাগ করতে না পারলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তাদের পরামর্শে নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপিরও সাহায্য নিতে পারেন।