প্রাকৃতিক উপায়ে দুশ্চিন্তা কমানোর সহজ উপায়

দুশ্চিন্তা আমাদের জীবনেরই অংশ। প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবনে নানা কারণে আমরা দুশ্চিন্তা করে থাকি। তবে একদিক দিয়ে এটি ভালোও বটে। কারণ, এটি যেকোনো বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করে এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত রাখে। কিন্তু দুশ্চিন্তা যখন বার বার হয় কিংবা বেশি মাত্রায় হয়, তখন আর সেটি সাধারণ থাকে না। তখন দরকার পরে প্রতিকারের। অন্যথায় আপনার জীবনে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। প্রাকৃতিক উপায়েও এর প্রতিকার পেতে পারেন। রাজধানীর বারডেম জেনারেল হাসপাতাল এবং ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আনোয়ারা বেগম জানাচ্ছেন বিস্তারিত।

কর্মব্যস্ত থাকুন
নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এটি কেবল শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য নয়, এটি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৩ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, দুশ্চিন্তা দূর করতে শারীরিক ক্রিয়াকলাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ক্রিয়াকলাপ রয়েছে, নিজের পছন্দ অনুযায়ী করতে পারেন। এর খুব সহজেই দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকতে পারবেন।

রাতে হোক ঘুম
ঘুম মানসিক স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বারবার প্রমাণিত হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। রাতে ভালো ঘুম হলে এটি আপনাকে দিনে সতেজ রাখে এবং দুশ্চিন্তা থেকেও মুক্তি দেয়।

ক্যাফেইন কমান 
ক্যাফেইন কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি পরবর্তী সময়ে নার্ভাসনেস এবং দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দেয়। প্যানিক ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে প্যানিক অ্যাটাকের কারণও হতে পারে। তাই ক্যাফেইন সীমিত মাত্রায় গ্রহণ করাই ভালো।

অ্যালকোহল দূরে রাখুন
অ্যালকোহল সাময়িকভাবে আপনাকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত করতে পারে। কিন্তু এটি কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। বরং বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এটি পরে দুশ্চিন্তার মাত্রাকে আরো বাড়িয়ে দেয় এবং আসক্ত করে ফেলে। তাই এটি থেকে দূরে থাকতে হবে।

ধূমপান ছাড়ুন
অ্যালকোহলের মতো ধূমপানও সাময়িক ভাবে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেয়। তাই ধূমপায়ীরা দুশ্চিন্তায় পড়লেই এটির আশ্রয় নিই। কিন্তু এটিও কোনো স্থায়ী সমাধান এনে দিতে পারে না। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি পরবর্তীকালে দুশ্চিন্তাজনিত সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো নয়।