সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য আমরা অনেক কিছুই করে থাকি। আমাদের দেশে বছরে কয়েকবার ঋতু পরিবর্তনের ফলে এর প্রভাবও আমাদের শরীরে ওপর পড়ে। তাই এই সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার দিকে মনোযোগ দেওয়া খুব জরুরি। যদিও কারও কারও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়ে থাকে। তা সত্ত্বেও প্রত্যেক মানুষেরই পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টির প্রয়োজন রয়েছে। আর আপনি চাইলে এর জন্য হাতের কাছে থাকা কিছু উপাদান দিয়েই শরীরের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারেন।
কাঁচা মরিচ
কাঁচা মরিচে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন সি এবং বিটা-ক্যারোটিন থাকে। এই দুটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন কোষের কার্যকারিতা বাড়িয়ে তোলে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিদিন একটি কাঁচা মরিচ খেলে ভিটামিন সির দৈনিক চাহিদা পূরণে সাহায্য করতে পারে।
আমলকী
আমলকী একটি সুপারফুড। এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। বিভিন্ন রোগ থেকে আপনাকে সুরক্ষিত রাখতে কাজ করে এর অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য। এছাড়া আমলকী হজমেও সহায়ক। আমলকী কেটে রোদে শুকিয়ে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়।
লেবু
ভিটামিন সি এর আরেকটি জনপ্রিয় উৎস হলো লেবু। লেবু অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং এটি শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। আপনি যে ডাল বা শাকসবজি খাচ্ছেন তার সঙ্গে লেবু রাখতে পারেন। এ ছাড়া লেবুপানি বা লেবুর শরবতও তৈরি করে খেতে পারেন।
মসলা
হলুদ, জিরা, ধনে, গোলমরিচ এবং অন্যান্য মসলা শুধু স্বাদই বৃদ্ধি করে না, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও দারুণ কার্যকরী। এগুলোতে বিভিন্ন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। সেই সঙ্গে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-সেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা আমাদের খাবারের উপকারিতাকে আরও কার্যকরি করে তোলে।
বাদাম
যে ধরনের বাদামই হোক না কেন, প্রতিদিন বাদাম খেলে মিলবে অনেক উপকার। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কার্যকরী। বাদাম দিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্মুদি, শেক তৈরি করে খাওয়ার পাশাপাশি এগুলো কাঁচাও খেতে পারেন। বাদাম খেলে অন্ত্রের স্বাস্থ্য, ত্বকের স্বাস্থ্য এবং দৃষ্টিশক্তিও বৃদ্ধি করে।