• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই, ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২, ০৮ মুহররম ১৪৪৬

৩ বিমানবন্দরে ১৬ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০২৫, ০৯:৪০ এএম
৩ বিমানবন্দরে ১৬ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ

ঢাকার হজরত শাহজালালসহ দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৬টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সোমবার মধ্যরাতে থেকে বন্ধ হয়ে গেছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের ইজারা নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

বেবিচকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যাত্রীসেবার মান উন্নয়ন, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং স্বচ্ছতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঢাকা ছাড়া বাকি দুটি বিমানবন্দর হলো চট্টগ্রামের শাহ আমানত ও নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দর।

তিনি জানান, যেসব প্রতিষ্ঠানের ইজারার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, তাদের আর নবায়নের সুযোগ দেওয়া হবে না এবং আগামীতে নতুনভাবে এসব স্থাপনা ব্যবহারের জন্য নতুন নীতিমালার আওতায় কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে যেসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে সেগুলো হলো এরোস ট্রেডিং, মেসার্স সজল এন্টারপ্রাইজ, মাহবুবা ট্রেডার্স, নাহার কনস্ট্রাকশন, এভিয়েশন ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড, এ ফাইভ রোডওয়ে লিমিটেড, ওয়ার্ল্ড ট্রাস্ট ট্যুরিস্ট কার সার্ভিসেস কোম্পানি, শিরিন এন্টারপ্রাইজ, হাওলাদার অ্যান্ড সন্স, অথৈ এন্টারপ্রাইজ, ওল্ফ করপোরেশন, আড়িয়াল ক্রিয়েটিভ স্পেস, ধানসিঁড়ি কমিউনিকেশন ও ডিপার্টমেন্ট এস কনসালটিং।

এ ছাড়া চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রী প্রান্তিক ভবনের দ্বিতীয় তলার বহির্গমন এলাকায় অবস্থিত ফ্যালকন এজেন্সি এবং নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ বহির্গমন এলাকায় থাকা ফ্যালকন এয়ারপোর্ট সার্ভিস টিমের কার্যক্রমও আজ রাত থেকে বন্ধ হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানকেও চূড়ান্তভাবে কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২৯ জুন বেবিচক থেকে ইজারা গ্রহণকারী সব প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধিত ডাকযোগে চিঠি পাঠিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। পাশাপাশি ৩০ জুন সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে একটি আনুষ্ঠানিক নোটিশও জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এসব প্রতিষ্ঠানকে অপসারণ করতে হবে এবং নতুন করে ইজারা নবায়নের জন্য কোনো আবেদন বিবেচনায় আনা হবে না।

বেবিচক বলছে, বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনায় আরও আধুনিকতা, জবাবদিহি এবং যাত্রীসেবার মানোন্নয়নের লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। ভবিষ্যতে এসব স্থানে নতুন নীতিমালার ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

Link copied!