• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

বর্ষায় রোগ প্রতিরোধ করবে ৭ পানীয়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২১, ০৮:১৮ পিএম
বর্ষায় রোগ প্রতিরোধ করবে ৭ পানীয়

চলছে বর্ষাকাল। প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষাকালে ঠান্ডাজনিত রোগ বেশি হয়। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তারা এই সময়টা বেশি অসুস্থ হন। তাই এই সময় শরীরে বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। সেই সঙ্গে খাওয়াদাওয়ায় সাবধান হতে হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শারীরিক প্রক্রিয়া সক্রিয় রাখতে হবে। এর জন্য শরীরকে হাইড্রেট রাখা অত্যন্ত জরুরি। 

বর্ষাকালে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানির অভাবে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানান, বর্ষাকালে এক কাপ স্বাস্থ্যকর পানীয় পানে আমাদের শরীর সক্রিয় ও এনার্জেটিক হতে পারে।পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে তুলতে সহায়তা করে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি, কিংবা অন্যান্য পানীয় গ্রহণ করতে হবে। এতে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ, জ্বর, গলাব্যথা, সর্দি-কাশির মতো ঠান্ডাজনিত সমস্যা দূরে থাকবে। তাহলে দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন পানীয়গুলো বর্ষাকালে স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

মসলা চা

দারুচিনি, ছোট এলাচ, আদা, গোলমরিচ এবং লবঙ্গ  দিয়ে চা বানিয়ে নিন। এটি শরীরের ইমিউনিটি বাড়িয়ে তোলে। ঠান্ডা ভাব দূর করে শরীরকে প্রাণবন্ত করে তোলে।

লেবু-আদা চা

বর্ষাকালে লেবু-আদা চা জাদুর মতো কাজ করে। শরীরের ম্যাজম্যাজে ভাব দূর করে মনকে সতেজ করে তোলে। লেবু-আদার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এই পানীয় গরম গরম পান করুন, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে তোলে।

হট কোকো 

গবেষণায় দেখা গেছে, কোকোতে প্রচুর পরিমাণে ফেনোলিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলে। খাদ্যতালিকায় ১০ শতাংশ কোকো উপস্থিত থাকা ভালো। এটি অ্যান্টি-অক্সিডেটিভ এবং ইমিউনোমোডুলেটরি প্রভাব সরবরাহ করতে পারে। যা সংক্রমণ ও রোগজীবাণু থেকে দূরে রাখতে পারে। সকালে খালি পেটে এটি পান করুন প্রতিদিন। বাড়তি ওজন ঝরে যাবে।

হলুদ দুধ

গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খাবেন। এটি সব সময়ই স্বাস্থ্যকর ও বেশ উপকারী। শুধু বর্ষাকালেই নয়, এটি সারা বছরই খাওয়া যেতে পারে। এই পানীয়টি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এটি প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।

জাফরান দুধ

কেশর বা জাফরানে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ রয়েছে। যা ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি এবং জ্বরের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া এই পানীয় পানে হতাশা ও উদ্বেগ দূর হয়। মেজাজ ভালো রাখে। হালকা গরম দুধে জাফরান মিশিয়ে পান করুন। স্নায়ুতন্ত্রের চিকিৎসায় এটি দুর্দান্ত কাজ করে।

আলমন্ড দুধ

দারুচিনি, মধু, হলুদ, এলাচ, জায়ফল এবং ভ্যানিলা দুধে মিশিয়ে আলমন্ড দুধ বানিয়ে নিন। ভালো করে ফুটিয়ে হালকা গরম থাকতেই পান করুন। এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পানীয়, যা বর্ষার ঠান্ডা আবহাওয়ায় শরীর সুস্থ রাখে।

সিনামন স্পাইসড সিডার

দারুচিনি ও আপেল সিডার ভিনেগারের মিশ্রিত পানীয়টি গরম গরম পান করুন। এটি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। আপেল সিডার ভিনেগারে বিভিন্ন ফাইটোকেমিক্যালস থাকে। দারুচিনিতে থাকে কোয়ারসেটিন। যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি গ্লুকোজ লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে।

 

সূূত্র: হেলথ লাইন

Link copied!