আহমদ ছফা লিখেছিলেন, “বাঙালির শ্রেষ্ঠ কাব্য অগ্নিবীণা বা গীতাঞ্জলী নয়। বাঙালির শ্রেষ্ঠ কাব্য হচ্ছে “আর দাবায়া রাখতে পারবা না।” জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সেই জনতার কবি। একজন কবি যেমন অক্ষর দিয়ে শিল্প সাজান, এই অবিসংবাদিত নেতা তেমনি কোটি মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে শিল্পিত আগুনের সমন্বয়ে স্বাধীনতার দিশা দেখিয়ে গেছেন।
বঙ্গবন্ধু ও একই সঙ্গে বাঙালির জীবনে মিলেমিশে গেছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ। ২০১৭ সালে ইউনেস্কো এই ভাষণকে পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ৭ মার্চ তাই এখন শুধু বাঙালির নয়; বিশ্বের বুকে নতুন শপথে এগিয়ে যাওয়ার দিন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) আসন্ন ৭ মার্চ দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান প্রচারিত হবে। এর মধ্যে আছে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত গান, ‘মার্চের উত্তাল দিনগুলি’ ও ৭ মার্চের ভাষণ, বীরাঙ্গনার সাতকাহন, বিশেষ আলোচনা, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদানে দেশ-বিদেশের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অভিব্যক্তি নিয়ে অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানমালায় আরও থাকছে, স্বরচিত কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা আবৃত্তি, শিশুতোষ আলেখ্যানুষ্ঠান ‘মহাকালের অমরকাব্য’, বিশেষ অনুষ্ঠান ‘টুঙ্গিপাড়া থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান’, ভাষণের ওপর বিশেষ আলেখ্যানুষ্ঠান ‘প্রতিধ্বনি’।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক (অনুষ্ঠান ও পরিকল্পনা বিভাগ) জগদীশ এষ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
টুঙ্গিপাড়ার খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু হয়ে যিনি স্বাধীন দেশ উপহার দিলেন তাঁকে আরও ভালো করে চিনতে ৭ মার্চ দর্শকরা চোখ রাখতে পারেন দিনব্যাপী বিটিভির পর্দায়।
আপনার মতামত লিখুন :