• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রাক্-প্রাথমিক শ্রেণির মূল্যায়নে ফি না নেওয়ার নির্দেশ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ১০, ২০২৩, ০৫:৫৯ পিএম
প্রাক্-প্রাথমিক শ্রেণির মূল্যায়নে ফি না নেওয়ার নির্দেশ

চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন কারিকুলামে পাঠদান চলছে। এই কার্যক্রমে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রথম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলামের পাঠদান চলার চার মাস পর প্রথম শ্রেণিসহ অন্যান্য চার শ্রেণিতে কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে, তার নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এরই মধ্যে মাঠপর্যায়ের স্কুল শিক্ষক-কর্মকর্তারা কীভাবে প্রতিপালন করবেন, সে জন্য ৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।

মঙ্গলবার (৯ মে) অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মনিষ চাকমা স্বাক্ষরিত এসব নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, প্রাক্-প্রাথমিক শ্রেণির কোনো মূল্যায়ন/পরীক্ষা নেওয়া যাবে না এবং মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের থেকে কোনো ফি নেওয়া যাবে না। একই সঙ্গে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্ষপঞ্জি ২০২৩ এ উল্লিখিত মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী বিভিন্ন প্রান্তিকের মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার রুটিন প্রণয়ন করবেন। সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের তত্ত্বাবধানে শিক্ষকের মাধ্যমে জ্ঞান, অনুধাবন ও প্রয়োগমূলক শিখন ক্ষেত্র বিবেচনায় বিদ্যালয়/ রোস্টারভিত্তিক প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে হবে।

মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে ফি গ্রহণ করা যাবে না। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী প্রশ্নপত্র কম্পিউটারে কম্পোজ করে ফটোকপি করতে হবে। প্রশ্নপত্র ফটোকপি ও উত্তরপত্রসহ (খাতা) আনুষঙ্গিক ব্যয় বিদ্যালয়ের আনুষঙ্গিক খাত/স্লিপ ফান্ড থেকে নির্বাহ করতে হবে। প্রাক্-প্রাথমিক শ্রেণির কোনো মূল্যায়ন/পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে না। পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম ২০২১ (প্রাথমিক স্তর) অনুযায়ী ২০২০ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে শতভাগ ধারাবাহিক মূল্যায়ন করতে হবে। প্রথম শ্রেণিতে কোনোরূপ প্রান্তিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, প্রাথমিক স্তরের শ্রেণিকক্ষে ধারাবাহিক ও সামষ্টিক মূল্যায়নের একটি নির্দেশিকা প্রাথমিক স্তরের প্রথম শ্রেণির জন্য রচিত সব শিক্ষক সহায়িকার সঙ্গে সংযুক্ত করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষকদের মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা ও তথ্য সংরক্ষণের জন্য প্রতিটি বিষয়ের ওপর অর্জন উপযোগী যোগ্যতা ও শিখন ফলের নম্বর উল্লেখপূর্বক শিক্ষক ডায়েরি এবং শিক্ষক ডায়েরি-২ নামে ২টি ওয়ার্ড ও পিডিএফ ফাইল আপলোড করা আছে। সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এই ফাইল ডাউনলোড করে নির্দেশনা অনুযায়ী মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন এবং শিক্ষার্থীর শিখন অগ্রগতির প্রতিবেদন প্রদান করতে পারবেন।

এছাড়া দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে কোভিড পরিস্থিতির আগের নিয়মানুযায়ী মূল্যায়ন সম্পন্ন করতে হবে। মাধ্যমিক স্তরে নতুন কারিকুলামে কার কী দায়িত্ব, সেই সম্পর্কিত একগুচ্ছ নির্দেশনা জারি করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। গত ২ মে মাউশির সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী স্বাক্ষরিত নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়। এসব নির্দেশনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, প্রতিষ্ঠান প্রধান, উপজেলা, জেলা ও আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের কাজ কী হবে তার পূর্ণাঙ্গ একটি রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!