জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকা স্বত্বেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। তবে সরকারি ছুটি হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল দাপ্তরিক কাজ বন্ধ রয়েছে।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উড়ছে।
দায়িত্বরত নিরাপত্তা প্রহরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “পতাকা উড়িয়েছি অন্যান্য দিনের মতোই। কেউ বললে নামিয়ে ফেলব।”
এদিকে জাতীয় পতাকা বিধিমালার ৬ এর ১ নম্বর উপধারায় উল্লেখ আছে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন এবং অফিসসমূহে সকল কর্মদিবসে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ উত্তোলন করা হবে। এই বিধি অমান্য করে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের দপ্তর সম্পাদক আহসান লাবিব বলেন, “আজকের সরকারি ছুটির দিনেও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে তাও প্রশাসনিক ভবনের সামনে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গায় প্রশাসনের এমন দায়িত্বহীন কাজ গ্রহণযোগ্য নয়। প্রশাসনের এসব বিষয়ে আরও সচেতন হওয়া জরুরি। জাতীয় পতাকা বাঙালি জাতির এক আবেগের নাম। সেই জায়গায় দায়িত্ব অবহেলা করা ঠিক না।”
ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমর্ত্য রায় বলেন, “ছুটির দিনে প্রশাসনিক ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার নজির এই প্রমাণ করে যে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের অসচেতনতা, দায়িত্বে গাফিলতি রয়েছে। বন্ধের দিনে এর আগেও কয়েক হলে এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে। পুনরায় এ ধরনের ঘটনা এটাই প্রমাণ করে যে, তাদের গাফিলতি চলমান আছে। সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ছুটির দিনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শোভনীয় নয়। এই ধরণের কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”
কর্মদিবস না থাকার পরও কেন জাতীয় পতাকা উড়ছে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আবু হাসান বলেন, “ছুটির দিনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম নাই। আমি খবর পেয়েছি আজ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা প্রহরীকে ফোন করে জানিয়েছি। আমি আবার ফোন করে দেখছি।”
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।