• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

৪৪ ভেন্যুতে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় বসছেন ১ লাখ ৪ হাজার শিক্ষার্থী


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৪, ১০:০০ এএম
৪৪ ভেন্যুতে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় বসছেন ১ লাখ ৪ হাজার শিক্ষার্থী

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে একযোগে রাজধানীসহ ১৫ জেলা ও বিভাগীয় শহরের ১৯ কেন্দ্রের ৪৪ ভেন্যুতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এক ঘণ্টার এ পরীক্ষা চলবে সকাল ১১টা পর্যন্ত। এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৪ হাজার ৩৭৪ জন।

জানা গেছে, ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ৫৩৮০টি আসন এবং বেসরকারি পর্যায়ে অনুমোদিত ৬৭টি মেডিকেল কলেজে মোট ৬২৯৫টি আসনের বিপরীতে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি পরীক্ষা পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এসব তথ্য জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে, যার মোট আসন সংখ্যা ৫ হাজার ৩৮০টি। এ ছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে অনুমোদিত ৬৭টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে, যার মোট আসন রয়েছে ৬ হাজার ২৯৫টি।

প্রশ্নফাঁস বন্ধে ডিজিটালাইজেশন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,  ‘স্বচ্ছতা আনতে, শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও অনিয়ম বন্ধ এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভর্তি প্রক্রিয়ায় ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি মেডিকেল কলেজে গত কয়েক বছর অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন এবং ডিজিটালাইজেশনের ফলে প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ হয়েছে। একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে।’

তিনি জানান, এর আগে অনিয়ম রোধ এবং শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধের লক্ষ্যে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়ায় ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের হয়রানি, অনিয়ম ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের পথ বন্ধ হয়েছে এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিতের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি জনগণের মাঝেও ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে। প্রশ্নপত্র বহনকারী ট্রাংকে একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস রয়েছে, যার মাধ্যমে অধিদপ্তর থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্নপত্র আনা-নেওয়া কার্যক্রম মনিটরিং করা হয়।

ভর্তি পরীক্ষায় যত নম্বর

লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় ১০০টি প্রশ্নের প্রতিটি ১ নম্বর করে মোট (এইচএসসি বা সমমান সিলেবাস অনুযায়ী) ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়ভিত্তিক বিভাজন- পদার্থবিদ্যা ২০, রসায়নবিদ্যা ২৫, জীববিজ্ঞান ৩০, ইংরেজি ১৫ ও সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ) ১০টি প্রশ্ন থাকবে।

লিখিত পরীক্ষার প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পেলে অকৃতকার্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পেলে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবেন না।

এমবিবিএস ও বিডিএসে পাস নম্বর ৪০

এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম নম্বর (পাস নম্বর) গতবারের মতো এবারও ৪০ রাখা হয়েছে। মাইগ্রেশনের সময় তিনবার পাবেন শিক্ষার্থীরা। বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তির জন্য সব কলেজকে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা সব কলেজে চয়েজ একবারে দিতে পারবেন, সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতেও একই নিয়ম বহাল।

দ্বিতীয়বার ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কত নম্বর কাটা

২৪ ডিসেম্বরের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি থাকা দ্বিতীয়বার ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ১০ নম্বর কাটা হবে। এ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় জেলা কোটা বাতিল করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্ধারিত সময়ে আসন পূরণ করা না গেলে সেসব আসনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবেন।

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!