• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

উচ্চশিক্ষায় যথাযথ পরিকল্পনার অভাব: ইউজিসি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম
উচ্চশিক্ষায় যথাযথ পরিকল্পনার অভাব: ইউজিসি
ইউজিসির আয়োজনে দিনব্যাপী কর্মশালা। ছবি : সংগৃহীত

দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে শিক্ষার গুণগতমানের বৈষম্য নিরসনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। তিনি বলেছেন, “উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে গুণগত পরিবর্তন ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন প্রয়োজন।”

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সম্মেলন কক্ষে ইউজিসির আয়োজনে দিনব্যাপী এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) কার্যক্রম পরিবীক্ষণ ও প্রমাণক ব্যবস্থাপনা এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের খসড়া কর্মপরিকল্পনা পর্যালোচনা ও ফিডব্যাক প্রদান বিষয়ে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের। এছাড়া কর্মশালায় বক্তব্য দেন চবি উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে ও উপ- উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর আলমগীর বলেন, “দেশের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার অন্যান্য স্তরে শিক্ষার মানে বৈষম্য রয়েছে।”

শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের মাধ্যমে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরির জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দেন আলমগীর।

প্রফেসর আলমগীর আরও বলেন, “উচ্চশিক্ষায় অনেক ক্ষেত্রে যথাযথ পরিকল্পনার অভাবে গৃহীত কার্যক্রম যথাসময়ে বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এর সুবিধা থেকে অংশীজনরা বঞ্চিত হচ্ছেন এবং বিলম্বে বাস্তবায়িত হওয়ায় সরকারের ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই, শিক্ষায় গুণগত পরিবর্তন আনয়নে যুগোপযোগী পরিকল্পনা ও পদ্ধতিগত পরিবর্তন দরকার।”

একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে তোলা, যুগের চাহিদা পূরণে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিকস, বিগ ডাটাসহ ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন আলমগীর।

চবি উপাচার্য প্রফেসর আবু তাহের বলেন, “টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ। দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সুশাসন নিশ্চিত করতে এপিএ কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।”

ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, “মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষা ও গবেষণায় সহযোগিতা বৃদ্ধিতে ইউজিসি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।”

সংশ্লিষ্ট ফোকাল পয়েন্টদের এপিএ বাস্তবায়নে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান ফেরদৌস জামান।

ইউজিসির অতিরিক্ত পরিচালক ও এপিএর ফোকাল পয়েন্ট বিষ্ণু মল্লিকের সঞ্চালনায় কর্মশালায় ইউজিসি, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের এপিএ কমিটির আহ্বায়ক, ফোকাল পয়েন্টসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

Link copied!