• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

কাঞ্চনতলায় কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩, ১২:৫৫ পিএম
কাঞ্চনতলায় কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত

‘কবিতা আনুক চিত্তের মুক্তি’ এই শ্লোগানে পাবনার চাটমোহরে শেষ হলো দুদিনব্যাপী কবিতা উৎসব। শনিবার কবি, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিককর্মীদের অংশগ্রহণে কবিতা, গান, নাটক সহ নানা আয়োজনে শেষ হয় এই উৎসব। এর আগে শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চাটমোর উপজেলার কুমারগাড়া গ্রামে একান্ত নামের বাসভবনের কাঞ্চনতলায় এই উৎসব উদ্বোধন করা হয়।

‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ গানের সুরে প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে কবিতা উৎসব উদ্বোধন করেছিলেন কবি গগন ঘোষ। এ সময় একান্তের পরিচালক আব্দুর রশিদ, সহকারী অধ্যাপক শাহীন মনোয়ার, কবি মোশারফ হোসেন মুসা, নাট্যকার আসাদুজ্জামান দুলাল, সাংবাদিক রকিবুর রহমান টুকুন, কবি ফকির খালেদ, নজরুল ইসলাম, শাহনাজ পারভীন, সালমা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানস্থলের পাশেই প্রদীপ জ্বালিয়ে ও ফিতা কেটে চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছিলেন নটরডেম কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মঞ্জু রশিদসহ অতিথিরা। প্রদর্শনীতে গৌতম কুন্ডুর সুচিকর্ম, তপু দাসের পেইন্টিং ও মাসুদ রানার আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

মাহফুজা জেসমিনের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অনুষ্ঠানের আহবায়ক আব্দুর রশিদ। দুপুর থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত কবিতা পাঠ এবং সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত সঙ্গীত ও নাট্যানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে পাবনাসহ বিভিন্ন জেলার অর্ধশতাধিক কবি ও সাহিত্যিক অংশগ্রহণ করেন।

আয়োজন নিয়ে কবি গগন ঘোষ বলেন, প্রত্যন্ত গ্রামে এমন কবিতা উৎসবের আয়োজন নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। চাটমোহরে গুণীজনের চাষাবাদ হয়। এটাকে ধরে রাখতে এমন আয়োজন আরও হওয়া দরকার। নতুন প্রজন্মের মাঝে মেধাকে বের করে আনতে এমন আয়োজন ভূমিকা রাখবে।

সঙ্গীত শিল্পী প্রভাষক মঞ্জু রশিদ বলেন, “আজ আমাদের সংস্কৃতির দৈন চলছে, বিক্ষিপ্ত সংস্কৃতিবোধের জায়গা নিম্নগামী হচ্ছে। সেখান থেকে উত্তরণের ক্ষীণ আশা জাগিয়ে তুলবে এমন আয়োজন। এমন আয়োজন থেকে আমরা প্রাণশক্তি পাই।”

আয়োজক আব্দুর রশিদ বলেন, শিল্প সাহিত্য সঙ্গীত, “চিত্রকলা সহ সংস্কৃতির যত উপাদান আছে, তার সবই গ্রাম কেন্দ্রিক গড়ে ওঠা। আমরা যখন নাগরিক হচ্ছি, তখন গ্রামকে নিঃস্ব করে নগরে যাচ্ছি। নগরে গিয়ে আমরা আরেক নিঃস্বতার মধ্যে পড়ে যাচ্ছি। এজন্য আমাদের শিল্প সাহিত্যের চেতনাকে গ্রামে প্রজ্বলিত করে রাখার উদ্দেশ্যে এই আয়োজন।”

Link copied!