• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড


শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৪, ০৫:১৩ পিএম
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড
জেলার মানচিত্র

শরীয়তপুরে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে শরীয়তপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সোহেল আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন নিজাম বালী (৪৫), মোহাম্মদ আলী (৩৫), ওমর ফারুক বেপারী (২৪), আল আমীন বেপারী (২০) ও ইব্রাহীম মোল্লা (২১)। তারা প্রত্যেকে ডামুড্যা উপজেলার দক্ষিণ সুতলকাঠি গ্রামের বাসিন্দা।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে দুই আসামি উপস্থিত ছিলেন। ইব্রাহিম, আল-আমীন ও পলাতক।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ডামুড্যা উপজেলার ধানকাঠি ইউনিয়নের ভূঁইয়া বাজার গ্রামের ফিরোজা বেগম ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। ২১ এপ্রিল বাড়ি থেকে দশ কিলোমিটার দূরে পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের বড় নওগাঁ এলাকার আব্দুর রহমান মাস্টারের বাড়ির পূর্ব পাশের একটি পরিত্যক্ত ডোবা থেকে তার ক্ষত-বিক্ষত মরেদহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরেরদিন ওই নারীর ছোট ভাই লাল মিয়া সরদার বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ২ থেকে ৩ জনকে অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে শরীয়তপুর আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। আসামিদের মধ্যে পাঁচজন জড়িত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করে পুলিশ। পরে ২৮ এপ্রিল ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিজাম বালীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরেরদিন ওমর ফারুক ও মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর হত্যা করার কথা আদালতের কাছে স্বীকার করেন। এ ঘটনায় পুলিশ ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ দুপুরে শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ হত্যা ও ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সানাল মিয়া ঢাকা বলেন, “আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ে সন্তুষ্ট।”

Link copied!