কোথাও থেকে তথ্য নিয়ে বই লিখলে সূত্র দিতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, “এখন থেকে যারা বই লিখবেন, তারা যেখান থেকে যে তথ্য নেবেন, সেই সূত্র অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে।”
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে শেখ কামাল আন্তস্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতার উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, ‘কোথাও থেকে লেখা নিলে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা সাধারণ নিয়ম। কিন্তু কোনো বইয়ের মধ্যে কখনো সূত্র লেখা থাকে না। এখন মানুষের মাঝে অনেক সচেতনতা এসেছে। কাজেই আমি এখন থেকে আশা করব, যারা বই লিখবেন সূত্র উল্লেখ করে দেবেন।”
সমালোচকদের উদ্দেশ্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “শিক্ষাক্রম নিয়ে এত কথা বলা হচ্ছে, যার অধিকাংশই মিথ্যাচার। যেখানে ভুল আছে, অবশ্যই সংশোধন করেছি এবং করব। যেখানে চিহ্নিত হবে ভুল, সেখানে শুদ্ধ হবে। কিন্তু যেসব মিথ্যাচার-অপপ্রচার চলছে, সেটি তো উদ্দেশ্যমূলক। শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আর কোনো ইস্যু না পেয়ে একটি গোষ্ঠী পেছনে লেগেছে।”
তিনি বলেন, “শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের এ ডামাডোলের মধ্যে যেটা চাপা পড়ে যাচ্ছে, আপনারাও যেটাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন প্রায়, সেটা হলো নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে আমাদের পুরো পঠন ও শিখন পদ্ধতি যে সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে এবং সেটির মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা যে আনন্দময় শিক্ষা পাচ্ছে, সত্যিকার অর্থে করে করে শিখছে, যেটি তারা সারা জীবন ধারণ করবে, আত্মস্থ ও প্রয়োগ করতে পারবে। মূল্যায়ন পদ্ধতিতে যে গুণগত পরিবর্তন এসেছে, এটি তো সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাচ্ছেন। এর অর্থ হচ্ছে, সবাই একটি ভাসা ভাসা জিনিস নিয়ে কথা বলছি। একজন চিৎকার করছেন এবং অন্যজন তার সঙ্গে গলা মেলাচ্ছেন। এর কোনো অর্থ নেই।”
তিনি আরও বলেন, “শিক্ষাক্রমের বিশাল গুণগুলো রয়েছে, সেগুলো যে উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, সে উদ্দেশ্যগুলো নিয়ে কথা বলা উচিত এবং তা সমাজের জন্য জরুরি। কিন্তু যারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে, এগুলো তাদের আরও উসকে দেবে। বরং এ শিক্ষাক্রম নিয়ে গঠনমূলক চেষ্টা করা হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের দক্ষ, মানবিক ও সৃজনশীল করা যায়, সেসব বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া দরকার।”
আপনার মতামত লিখুন :