• ঢাকা
  • শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২, ১৬ মুহররম ১৪৪৬

বরগুনায় নদীর তীরেই বিক্রি হচ্ছে তাজা ইলিশ


বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২৩, ০৯:৫৫ পিএম
বরগুনায় নদীর তীরেই বিক্রি হচ্ছে তাজা ইলিশ

বরগুনা সদর উপজেলার পায়রা বুড়িশ্বর নদীর তীরে বসেই বিক্রি করা হচ্ছে তাজা রূপালি ইলিশ। বিকেল থেকেই ইলিশ বিক্রির ডাক শুরু হয় ফেরি ঘাটে। বেচা-কেনা চলে রাত ৯টা পর্যন্ত।

শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে পায়রা নদীর তীরবর্তী বরগুনা জেলার পুরাকাটা ফেরিঘাট সংলগ্ন রাস্তায় পাশে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন বিকেলে জেলেদের কাছ থেকে তাজা ইলিশ পাওয়া যায়। পুরাকাটা ফেরিঘাট সংলগ্ন রাস্তার পাশে বসে এই ভাসমান মাছ বাজার। এখানকার জেলেদের মাছ বিক্রি করতে জেলা শহরে যেতে হয় না। বরং দূর থেকে অনেকেই এখানে তাজা ইলিশ কিনতে আসেন। যেদিন মাছের সরবরাহ বেশি থাকে সেদিন দাম কিছুটা কম থাকে। আবার সরবরাহ কমে গেলে মাছের দামও বেড়ে যায়। তাজা মাছের চাহিদা বেশি থাকায় দু-তিন ঘণ্টার মধ্যেই সব মাছ বিক্রি হয়ে যায়। ভাসমান এ বাজারে ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা,  ৫০০ থেকে ৬৫০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা এবং ১ কেজি থেকে ১ কেজি ৪০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হয় ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকায়।

পায়রা নদীর স্থানীয় জেলেরা জানান, বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত যে ইলিশ মাছ ধরা হয় সেগুলো বিকেলেই বিক্রি হয়ে যায়।

খুচরা মাছ বিক্রেতা মো. সেলিম খান বলেন, “১০ বছর বয়স থেকেই এই নদীতে মাছ ধরি। বয়স হওয়ায় এখন আর আগের মতো মাছ ধরতে পারি না। সাত আট বছর ধরে এই ফেরিঘাটে জেলেদের কাছ থেকে মাছ কিনে বাজারে বিক্রি করি।”  

স্থানীয় মুদি দোকানদার ইয়াকুব বলেন, “এই বাজারে ইলিশ মাছ কেনার জন্য প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভিড় করেন। কারণ পায়রা নদীর তাজা ইলিশ খুব সুস্বাদু।”  

মো. সুজন গাজী নামের এক ক্রেতা বলেন, “পায়রা নদীর ইলিশ মাছের স্বাদই আলাদা। আমার মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে এসে দুইটি বড় মাছ কিনেছি।”

জেলার মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, “দেশের সামুদ্রিক মাছ রক্ষায় সরকারের বিভিন্ন সময় মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা সঠিকভাবে পালন করার সুফল ভোগ করছে জেলেরা। বরগুনার পায়রাসহ নদীগুলোতে মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।” 

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!