• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

স্নানোৎসবকে ঘিরে উৎসব মুখর ব্রহ্মপুত্র


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৩, ০৫:৪৮ পিএম
স্নানোৎসবকে ঘিরে উৎসব মুখর ব্রহ্মপুত্র

বসন্তকালের বাসন্তী পূজার মহাষ্টমী তিথির পুন্যলগ্নে ব্রহ্মপুত্রের অবগাহনে স্নান করে নিজেদের পাপমুক্ত করেন কুড়িগ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। যুগ যুগ ধরে তাদের প্রচলিত বিশ্বাসকে ধারণ করে এভাবেই প্রতিবছর স্নানাৎসব করে আসছেন এ ধর্মের মানুষজন।

বুধবার (২৯ মার্চ) কুড়িগ্রামের চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই স্নানোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এই স্নান উৎসবটি অষ্টমীর স্নান হিসেবেও পরিচিত।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অষ্টমীর স্নানকে ঘিরে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে পূর্ণ্যার্থীরা একদিন আগেই এসেছেন ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে। যারা আগেই এসেছেন তাদের মধ্যে কেউ রান্না করতে ব্যস্ত, কেউ নিজেদেন থাকার জায়গা গুছিয়ে রাখছেন। কেউ কেউ আবার মেলার জন্য দোকানঘর তৈরি করছেন।

ঐতিহ্যবাহী এই অষ্টমীর স্নানকে ঘিরে বাড়তি ব্যস্ততা দেখা গেছে মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের মাঝেও। উপজেলা প্রশাসনসহ বেসরকারি সংগঠনের উদ্যোগে এই স্নানোৎসবকে সাফল্যমণ্ডিত করতে নেওয়া হয়েছে নানা ধরণের প্রস্তুতি। স্নানে যারা অংশ নেবেন তাদের জন্য আলাদাভাবে পোশাক পরিবর্তনের জন্য অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া খাবার পানি বিতরণ, বাথরুমের ব্যবস্থা ও বিশ্রামাগারের ব্যবস্থাসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

গাইবান্ধা থেকে আসা সুচরিতা সরকার বলেন, “এ বছরের স্নানের তিথিটি খুবই শুভ। সকাল সকাল স্নান সেরে নিতেই আমরা আগেই এসেছি। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি।”

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থেকে আসা ফুলমতি দাসী বলেন, “এবারের অষ্টমী স্নান বুধবার পড়েছে। আমাদের শাস্ত্রে এটি শুভ দিন। আমরা সকালে এসেছি। এখানকার একটা স্কুলে বিশ্রাম নিচ্ছি।”

স্নানোৎসব আয়োজক কমিটি জানায়, এবছর বুধবার দিনটি স্নান উৎসবের তারিখ হওয়ায় এবং স্নানের লগ্ন সারাদিন থাকায় দ্বিগুণ বেশি হিন্দু ধর্মালম্বীদের সমাগম হবে। কেননা ১২ বছর পর এই দিনটি পাওয়া যায়। যাকে বুধাষ্টমী বলে। এজন্য স্নান উৎসবের জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে ব্রহ্মপুত্রের রমনা ঘাট উত্তর দিক থেকে শুরু করে রাজারভিটা ভায়া রুকুনুদ্দৌলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকারিভাবে অষ্টমীর স্নান মেলার স্থানে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প, বিশুদ্ধ পানির জন্য নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে।  পাশাপাশি মেলাস্থানে পুর্ণ্যার্থীদের পোষাক পরিবর্তনের বুথ রয়েছে ৩৮টি। সেই সঙ্গে মেলায় পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য বেসরকারি ৭টি সংস্থা ৩৫টি অস্থায়ীভাবে পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এছাড়াও মেলা সংশ্লিষ্ট এলাকায় স্কুল, মাদ্রাসা খোলা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ উৎসবে ২ থেকে ৩ স্তরে জেলা উপজেলার প্রায় ৯০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে।

Link copied!