• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

কলারোয়ায় হানাদার মুক্ত দিবস


সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২২, ০৮:৫৫ এএম
কলারোয়ায় হানাদার মুক্ত দিবস

৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পাকিস্তানী হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হচ্ছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলার দামাল ছেলেরা সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে হটিয়ে দেয়। আর দখলমুক্ত করে নেন অবরুদ্ধ কলারোয়াকে। সেখানে উত্তোলন করেন স্বাধীন দেশের পতাকা। 

গৌরব উজ্জ্বল এই দিনটিকে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করছে কলারোয়া উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল এবং কলারোয়ার বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান।

কলারোয়ায় ৩শ’৪৩ জন বীর সন্তান স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশ নেন। এদের মধ্যে ২৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা  শহীদ হন।  এ পর্যন্ত সেখানে ৮টি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। 

কলারোয়া অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধা পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন শতাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত প্রবাসী সংগ্রাম পরিষদ। এই সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন এমসিএ মমতাজ আহম্মেদ, ভাষা সৈনিক শেখ আমানুল্লাহ, সাবেক সংসদ বিএম নজরুল ইসলাম, যুদ্ধকালিন কমান্ডার মোসলেম উদ্দীন, শ্যামাপদ শেঠ, ইনতাজ আহম্মেদ, মোছলদ্দীন গাইন ও ডাঃ আহম্মদ আলী।

কলারোয়া এলাকাটি মুক্তিযুদ্ধের ৮নং সেক্টরের অধীনে ছিল। পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম যুদ্ধ পরিচালনা করেন কলারোয়ার দুই বীরযোদ্ধা মোসলেম উদ্দীন ও আব্দুল গফ্ফার। কলারোয়ায় হানাদারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের কয়েকটি বড় ধরনের যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধেই ২৯ জন পাকিস্থানী সেনা নিহত হয়। শহীদ হয় ১৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। 

অবশেষে ৫ ডিসেম্বর রাত ১২টা ১ মিনিটে কলারোয়ার বেত্রবতী নদীর লোহার ব্রীজ মাইন দিয়ে ধ্বংস করে পাকসেনারা পালিয়ে যায়। কলারোয়ার বিভিন্ন স্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমনে অবশেষে ৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী সেনারা কলারোয়া ছাড়তে বাধ্য হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধারা কলারোয়াকে মুক্ত করেন। সাথে সাথে কলারোয়া থানা চত্বরে স্বাধীন দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে জয় পান মুক্তিযোদ্ধারা।

Link copied!