• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আচরণবিধি ভাঙায় জামাই-শ্বশুরকে শোকজ


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩, ১২:২৬ পিএম
আচরণবিধি ভাঙায় জামাই-শ্বশুরকে শোকজ
জেলার মানচিত্র

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ মাস্টারের ট্রাক প্রতীকের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর, পোস্টার ছেঁড়া এবং স্থানীয় এক সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে শোকজ করা হয়েছে।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে তাদের শোকজ নোটিশ পাঠানোর তথ্য নিশ্চিত করেছেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি পাবনা-৩-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. তাজউল ইসলাম।

শোকজ নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন পাবনার চাটমোহর উপজেলার অমৃতকুন্ডা গ্রামের মৃত ফরমান আলী বিশ্বাসের ছেলে ফুরকান আলী বিশ্বাস ও তার শ্বশুর একই গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে এস এম আলম বাবলু।

শোকজ নোটিশে বলা হয়েছে, আপনি ফুরকান আলী বিশ্বাস, এস এম আলম বাবলুসহ অজ্ঞাতনামা আরও কিছু ব্যক্তি শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে চাটমোহর উপজেলার রেলবাজার এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ মাস্টারের ট্রাক প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে রাত সোয়া ২টার দিকে দৈনিক কালের কণ্ঠের চাটমোহর প্রতিনিধি আব্দুল লতিফ রঞ্জুর বাসার প্রধান ফটকে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। এ সময় বাসা সংলগ্ন তার ওষুধের দোকানে সার্টার ও একটি সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।

এ ছাড়াও পরদিন শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ওই এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ট্রাক প্রতীকের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেন এবং আবারো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন। এ নিয়ে রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার ও প্রকাশিত হয়েছে। যা নির্বাচন পূর্ব একটি অনিয়ম। আপনাদের উক্তরূপ কাজে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর বিধি ১১ এর (গ) বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে।

নোটিশে আরও বলা হয়, উক্ত আইন ভঙ্গের কারণে কেন আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে মর্মে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় সশরীরে হাজির হয়ে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা প্রদান করতে নির্দেশ দেওয়া হলো।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে অভিযুক্ত ফুরকান আলী বিশ্বাসের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। বলেন, “সব কথার জবাব কি আপনাকে দিতে হবে নাকি। আমি এসব ব্যাপারে কোনো কিছু বলতে পারবো না। আমাদের নোটিশ দিয়েছে, সেই নোটিশের জবাব আমরা যেভাবে পারি, সেভাবে দেবো। আপনারা যা পারেন করেন।”
 

Link copied!