নির্বাচনী দায়িত্ব শেষে ফেরার পথে ম্যাজিস্ট্রেটসহ আহত ৯

নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে নদী পথে ফেরার পথে দুই স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৯ জন আহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। 

শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পদ্মা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

শনিবার রাত সোয়া ১১টায় শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আহাম্মেদ বিষয়টি জানিয়েছেন।

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ছিল আজ। নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

নিহতের নাম মোক্তার গাজী। তিনি সখিপুরের উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের মোল্লা কান্দি গ্রামের বাচ্চু গাজীর ছেলে।

আহতরা হলেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাসিত সাত্তার, মো.আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ভেদরগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমামুল হাফিজ নাদিম। এর মধ্যে বাসিত সাত্তারের অবস্থা গুরুতর।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানাধীন কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ছিল। নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে পদ্মা নদী দিয়ে স্পিডবোট যোগে ফিরছিলেন তারা। তাদের বহনকারী স্পিডবোটটি ভেদরগঞ্জের কাছাকাছি পৌঁছালে অপরদিক থেকে আসা আরেকটি স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করা ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৯ জন আহত হন। এর মধ্যে সংঘর্ষে সখিপুরের মোল্লা কান্দি মোটরসাইকেল চালক মোক্তার গাজীসহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ৩ জন ম্যাজিস্ট্রেট গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্যে মোক্তার গাজীকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে আহত ৩ ম্যাজিস্ট্রেটসহ অন্যান্যদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

অন্য আহতরা হলেন ম্যাজিস্ট্রেটদের গাড়ি চালক মো. সোহেল, জজ কোর্টের পেশকার হুমায়ুন কবীর, জুয়েল পাল, মো. বোরহান ও উত্তর তারাবুনিয়া এলাকার বারেক মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম।

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, সখিপুরের কাঁচিকাটা ইউনিয়নে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে ম্যাজিস্ট্রেটসহ বাকিরা স্পিডবোট যোগে পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে ফিরে আসছিলেন। তারা ভেদরগঞ্জ প্রান্তের কাছাকাছি পৌঁছালে অপরদিক থেকে আসা আরেকটি স্পিডবোটের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হয়েছেন। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৯ জন আহত হয়েছেন। ম্যাজিস্ট্রেটসহ আহত অন্যদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালসহ উপজেলার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।  গুরুতর আহত একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা তাকে ঢাকায় পাঠাব। নদী পথের দুর্ঘটনা রোধের জন্য ইতোমধ্যে নৌপুলিশ তৎপর হয়েছে।