রংপুরে আগুন নেভাতে গিয়ে একটি বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে নূর আলম (১৯) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এদিকে বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করার সময় পুলিশ বাধা দিলে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। এতে আহত হয়েছেন ২ পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন।
সোমবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে নগরীর খামারপাড়া এলাকার তাবলিগ মসজিদসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নূর আলম চুড়িপট্টি এলাকার বাদল মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল তিনটার দিকে খামাড়পাড়ায় তাবলিগ মসজিদের পাশে ফকির চান নামের এক ব্যক্তির টিনশেড বাড়িতে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই পাশের মাজেদ মিয়ার একতলা বাড়ির ছাদে উঠে এলাকাবাসী পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। এরই মধ্যে নূর আলম ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, বাড়ির মালিক মাজেদ মিয়া ধাক্কা দেওয়ায় ছাদ থেকে পড়ে যান নূর আলম।
পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরই মধ্যে নূর আলমের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা মাজেদ মিয়ার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গেও সংঘর্ষ বাধে। এ সময় দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান বলেন, “আগুন নেভাতে একসঙ্গে অনেকেই একটি বাড়ির ছাদে উঠেছিল। সেখান থেকে নূর আলম নামের এক যুবক পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। তবে কীভাবে ছাদ থেকে পড়েছে বা কেউ তাকে ধাক্কা দিয়েছে কি না, তা এখনো আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি।”






































