দলের রান শতক ছাড়িয়ে যাওয়ার পর সাজঘরে ফিরে গেলেন সাকিব। তার বিদায়ের পর একটা জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করছিলেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। সেটা ভেস্তে দিলেন লেগ স্পিনার রশিদ খান। এরপর সিরিজে অভিষিক্ত ইয়াসির আলীকেও দ্রুত বিদায় করে দেন এই স্পিনার। ফলে এক উইকেটে হারিয়ে সেঞ্চুরি পার করা বাংলাদেশ ১২৫ রান তুলতেই আরও ৩ উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়েছে।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম-লিটন। শুরুতে সাবধানী ব্যাটিংয়ে কারণে পাঁচ ওভারে কোনো বাউন্ডারিই হাঁকাতে পারেনি তারা। এরপরই ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন লিটন। দারুণ সব শট খেলছেন তিনি।
তবে ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি তামিম। আগের দুই ম্যাচের মতো ফের ফজলহক ফারুকির বলে বোল্ড হয়ে ফিরে গেছেন সাজঘরে। এর আগে ২৫ বল খেলে করেছেন ১১ রান করেছেন টাইগার কাপ্তান।
এরপর সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লিটন। দুজনে মিলে করেন ৬১ রানের জুটি। সাকিব ৩৬ বলে ৩০ রান করে আজমতউল্লাহর বলে আউট হয়ে গেলেও আফগানিস্তান বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে তুলে নেন দারুণ এক ফিফটি।
এরপর দলের স্কোর বড় করার দায়িত্ব নেন লিটন-মুশফিক। কিন্তু রশিদ খানের বল পা বাড়িয়ে ডিফেন্স করতে গিয়ে ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে রহমানউল্লাহ গুরবাজের গ্লাভসে। আগের ম্যাচে দুই শ ছোঁয়া জুটি উপহার দেওয়া দুই ব্যাটসম্যান এবার বিচ্ছিন্ন হলেন ১৭ রান করেই। ১৫ বলে ৭ রান করেন মুশফিক। ওভারের শেষ বলে স্লিপেই রহমত শাহকে ক্যাচ দিলেন ইয়াসির। ৪ বলে ১ রান করে ফিরলেন এই ব্যাটার। নিজের আগের ওভারের পঞ্চম বলে মুশফিককে ফেরানো রশিদ ৭ বলের মধ্যে পেলেন দুই উইকেট।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান করেছে টাইগাররা।
১০৭ বলে ৮১* রান করে অপরাজিত আছেন লিটন, তিনি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন ৭টি। অপর প্রান্তে ১৭ বলে ৭* রান করে অপরাজিত আছেন ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ।