• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে চান তানজীদ তামিম


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২৩, ০৭:১৬ পিএম
ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে চান তানজীদ তামিম
ছবি: সংগৃহীত

তানজীদ তামিম, ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী সদস্য। তবে, তারপরিই যেন ব্যাট হাতে ছন্দ পতন হয় এই ক্রিকেটারের। ২০২২ সালের প্রিমিয়ার লিগে ৯ ম্যাচ খেলে ৮ ইনিংসে করেছেন মাত্র ১১৯ রান।। অনেকটা অন্ধকারে চলে যাওয়া এই ক্রিকেটার নিজের সরূপে ফিরেন এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে ১১ ম্যাচ খেলে ২টি সেঞ্চুরি, ১টি ফিফটিসহ ৯৩.৩০ স্ট্রাইক রেটে ৪৭৪ রান করেছেন তিনি। এরপর ইমার্জিং এশিয়া কাপে সুযোগ পেয়ে ১১৬.৯৯ স্ট্রাইক রেটে ৬ ম্যাচে ১৭৯ রান করেন তানজিদ। এবার সুযোগ পেলেন জাতীয় দলেও।

তানজিদের দলে সুযোগ পাওয়ার পেছনে প্রধান কারণ তার  আগ্রাসী ব্যাটিং। তবে, তিনি বলছেন অন্য কথা।  

বৃহস্পতিবার মিরপুরে তিনি বলেন, “ দেখুন আমি এসব চিন্তা করে ব্যাটিংয়ে নামি না। ব্যাক অব দ্য মাইন্ড এটাই থাকে যে ইতিবাচক ক্রিকেট খেলবো। অনেকেই বলে আমি অনেক আগ্রাসী ক্রিকেট খেলি। এরকম না। আমি শুধু স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করি। আমার শক্তির ওপর বিশ্বাস রাখার চেষ্টা করি। আমি নিজের শক্তিতে ও ইতিবাচক খেলায় বিশ্বাস রাখি। ’

তানজীদ এ সময় আরও যোগ করেন, “ আসলে দেখেন, প্রত্যেক ক্রিকেটারের জীবনে ভালো সময় খারাপ সময় আসবেই। এটা মেনে নিতে হবে। খারাপ সময়টা কীভাবে কাটিয়ে উঠবো সেই জিনিসটা আসল। চেষ্টা করেছি যে ওই সময় খারাপ সময়টা কীভাবে ওভারকাম করা যায়। বিভিন্ন কোচের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার যেখানে ঘাটতি ছিল সেগুলো নিয়ে কাজ করেছি। আস্তে আস্তে এভাবেই রানে ফিরেছি। ”

তামিম ইকবাল খানের জায়গায় দলে সুযোগ পেয়েছেন তিনি। দায়িত্বটা তাই একটু বড়ই তার কাধেঁ। ফলে কোন চাপ অনুভব করছে কি না তরুণ এই ক্রিকেটার এমন প্রশ্নের উত্তরে তামিম বলেন, “প্রত্যাশার চাপের কথা- আমরা পেশাদার ক্রিকেট খেলি। এটা চাপেরই খেলা। খেলায় অনেক ধরনের পরিস্থিতি থাকে, জিনিসটা যত তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিতে পারবো, তত তাড়াতাড়ি আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারবো।”

প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে প্রথমবার কাজ করছেন তামিম। টাইগার এই প্রধান কোচও দিয়েছেন গুরু মন্ত্র, ” জাতীয় দলে আসার পর কোচ বলছেন, তুমি এতদিন যেভাবে খেলে এসেছ, তোমার সহজাত খেলা যেটা, সেটাই খেলবে। উনি বলছেন যে তোমার যদি নিজের কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে আমার কাছে এসে কথা বলবে। উনি সব সময় প্রশ্ন করতে পছন্দ করেন। কারণ, তাহলে নিজের ভেতর থেকে সব কিছু আসে। এদিক থেকে বলব ভালো।”

Link copied!