ইংল্যান্ডকে হারিয়ে এবারের বিশ্বকাপে প্রথম অঘটন টা ঘটান আফগানিস্তান। সেই জয়ের অনুপ্রেরণা নিয়ে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নামে হাশমতউল্লাহ শাহিদির দল। এই ম্যাচে ব্ল্যাকক্যাপসরা তাদের লক্ষ্য দিয়েছে ২৮৯ রানের। অবশ্য লক্ষ্যটা আরও কম হতো যদি না ক্যাচ ড্রপ করতো আফগান ফিল্ডাররা। নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেটে ২৮৮ রান তোলে কিউইরা।
চেন্নাইয়ে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক। কারণ উইকেটের সুবিধা নেওয়া এবং দ্রুত নিউজিল্যান্ড উইকেট তুলে নেওয়া। বল হাতে শুরুটাও দারুণ করে ফজল হক ফরুকী-মুজিব উর রহমানরা। ষষ্ঠ ওভারে ফর্মের তুঙ্গে থাকা ডেভন কনওয়েকে সাজঘরে ফেরত পাঠান মুজিব উর রহমান। কিউইদের রান উঠছিল তখন ওভারপ্রতি ৫ করে।
এরপর অবশ্য লম্বা সময় ক্রিজে রাজত্ব করেছিলেন উইল ইয়াং এবং রাচিন রবীন্দ্র। দুজন মিলে যোগ করেছেন ৭৯ রান। এই জুটি আরও আগেই ভাঙ্গতে পারতো, যদি রাচিনের ক্যাচটা ঠিকভাবে লুফে নিতে পারতেন হাশমতউল্লাহ শহিদি।
এরপর আচমকাই ম্যাচের দৃশ্যপট নিজেদের করে নেন আফগান বোলাররা। আজমতউল্লাহ ওমরজাই এর জোড়া আঘাতে ফিরে যান দুই সেট ব্যাটার। ড্যারেল মিচেলকে ফেরান রশিদ খান। ১ রান তুলতেই নিউজিল্যান্ডরা হারায় তিন উইকেট। ১০৯ রানে ১ উইকেট থেকে ১১০ রানেই হয়ে যায় ৩ উইকেট। রাচিন ৩২ ও ইয়াং করেন ৫৪ রান। আর মিচেলের উইলো থেকে আসে ১ রান।
সেখান থেকে বিপর্যয় সামাল দেন নেতৃত্বভার পাওয়া টম ল্যাথাম ও গ্লেন ফিলিপস। তারা ১৪৫ রানের জুটি গড়েন। তাদের এই জুটি বড় করার জন্য আফগান ফিল্ডারদের অবদান অনেক বেশি। মুজিব-উর রহমান এবং হাশমতউল্লাহ শহিদি দুজনেই ক্যাচ ছেড়েছেন।
নাভিন উল হকের করা ৪৮ তম ওভারে মারতে গিয়ে দুজনেই আউট হয়েছেন। আউট হওয়ার আগে ফিলিপস খেলেন ৮০ বলে ৭১ রানের ইনিংস আর লাথামের ইনিংসটি থামে ৭৪ বলে ৬৮ রানে। তবে তাতে রান তোলায় ভাটা পড়েনি। মার্ক চ্যাপম্যানের ১২ বলে ২৫ রানের ক্যামিওতে ভর করে ঠিকই ২৮৮ রানের বড় সংগ্রহ পেয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। আফগানিস্তানের পক্ষে দুইটি করে উইকেট নেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই এবং নাভিন উল হক।