• ঢাকা
  • রবিবার, ০৬ জুলাই, ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২, ১০ মুহররম ১৪৪৬

রক্তপাত বন্ধের আহ্বান মুশফিক-তামিম-লিটনদের


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২৪, ০৯:৩৪ এএম
রক্তপাত বন্ধের আহ্বান মুশফিক-তামিম-লিটনদের

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে সারা দেশে নিহত হয়েছেন ৭ জন। চলমান সহিংস পরিস্থিতি ও মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছেন দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। রক্তাক্ত এ পরিস্থিতিতে নিশ্চুপ নেই ক্রিকেটাররাও। উদ্ভূত পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধান চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন মুশফিক-তামিম-লিটনরা।

বুধবার সকালে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে পোস্ট দেন মুশফিক, বলেন, “আমার ভাই-বোনদের ওপর আর কোনো সহিংসতা দেখতে চাই না।”

তামিম ইকবাল তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, “আপনারা জানেন, বড় ভাইয়ের (নাফিস ইকবাল) অসুস্থতায় আমার পরিবারের একটা কঠিন সময় যাচ্ছে। আমিও দেশের বাইরেই আছি। তবে দেশে যা হচ্ছে, তা জেনে মনটা আরও অস্থির হয়ে উঠেছে।

কোনো রক্তপাত, কোনো মৃত্যুই কাম্য নয়। তরুণরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তাই কোনো সংঘাত নয়, আলোচনায় সমাধান হোক। এই অস্থিরতা দ্রুত কেটে যাক। দেশ ও দেশের মানুষ ভালো থাকুক।”

ডানহাতি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাসেরও একই আহ্বান। তিনি লিখেছেন, “কোথাও কোনো রক্তপাত, কোনো মৃত্যুই কেউ চায় না। দেশের তরুণরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। তাই আর কোনো ভাই-বোনদের উপর সহিংসতা দেখতে চাই না। চলমান সংকটের যৌক্তিকভাবে সমাধান হোক। দেশটা আমাদের সবার।”

অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ তার পেজ থেকে লিখেছেন, “শিক্ষাই যদি জাতির মেরুদণ্ড হয়, তবে শিক্ষার্থীরা হলো হৃদপিণ্ড। আমি চাই না আর রক্ত ঝরুক, খালি হোক কোনো মায়ের কোল। শান্তি চাই, শান্তি চাই!”

আফিফ হোসেন ধ্রুব তার পোস্টে লিখেছেন, “দেশটা আমাদের সবার। আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী, অশান্তিতে নয়। আমার কোনো ভাই-বোনের রক্ত আর না ঝরুক। যৌক্তিকভাবে চলমান সংকট নিরসন হোক। চলমান পরিস্থিতি দ্রুতই শান্তিতে রুপ নেবে। স্বাভাবিক হয়ে যাবে সবকিছু, এমনটাই আশা রাখি।”

উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান তিনি লিখেছেন, “হাতে সার্জারির জন্য আমি বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াতে আছি। দেশে কী হচ্ছে অনেক কিছুই ভালো ভাবে জানি না। তবে এইটুকু জানি যে, ছাত্র-ছাত্রীরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। তাই শিক্ষার্থীরা কখনোই দেশের ক্ষতি চাইতে পারে না। আমরা সবাই মিলে এই বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিতে চাই।

দেশের রক্তাক্ত অবস্থা দেখে স্বাভাবিক থাকতে পারছি না। আমরা তরুণ প্রজন্মই এই দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবো। এ জন্য দরকার সঠিক দিক নির্দেশনা। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে কখনই বিশ্ব মঞ্চে দেশকে এগিয়ে নিতে পারবো না। দেশ সবার আগে, নিজের স্বার্থ পরে।”
 

Link copied!