• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

মিনিটেই পাস বাফুফের অডিট রিপোর্ট!


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২২, ১১:১৯ পিএম
মিনিটেই পাস বাফুফের অডিট রিপোর্ট!

আগে নিয়মিত আয়োজিত হতো না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। সম্প্রতি অবশ্য এই চর্চা থেকে সরে এসেছে বাফুফে। সর্বশেষ দুই বছরে দুইবার এজিএম আয়োজন করল। এবারের এজিএমে এক মিনিটের মধ্যেই পাস হয়েছে বাফুফের সর্বশেষ অর্থ বছরের অডিট রিপোর্ট। তাতে নির্ধারিত সময়ের বহু আগেই শেষ বাফুফের এজিএম।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত হয় বাফুফের এজিএম। আগের এজিএমগুলোতে বিভিন্ন ঝামেলা ও হট্টগোল হলেও এবার অবশ্য সেই সব হয়নি। তাই তো আগে ভাগেই শেষ হয়েছে বাফুফের এজিএম।

বাফুফের এজিএমে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল অডিট রিপোর্ট। সর্বশেষ ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাফুফের আয় ছিল ২৮ কোটি ৮০ লাখ, বিপরীতে ৩৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা খরচ করেছে সংগঠনটি। ঘাটতি ছিল প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটের পরিমাণ আরও বাড়িয়েছে বাফুফে। নতুন বাজেটে প্রস্তাবিত বাজেট ৪৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা আর সম্ভাব্য আয় দেখানো হয়েছে ৪১ কোটি ৯৫ লাখ। অর্থাৎ, ঘাটতির পরিমান বেড়ে দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৭ কোটি টাকা।

এজিএমে এই নিয়ে হয়নি কোনো প্রশ্ন। এই নিয়ে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের উত্তর, “গতবারের অডিট এক মিনিটের মধ্যে পাস হয়েছে। অডিটটা দেখেই তারা বলেছে সব ঠিকঠাক আছে। কেউ প্রশ্ন তোলেনি, তারা আমাদের উপর ছেড়ে দিয়েছে, আমাদেরই দায়িত্ব এটা জোগাড় করা। যেহেতু আমরাই অর্থ জোগাড় করি, এ কারণে কেউ কোনো প্রশ্ন তোলেনি। আশা করি, এই ঘাটতি আমরা পুষিয়ে নিতে পারব।”

বাফুফের নির্দেশনা থাকলেও জেলাগুলোতে নিয়মিত ফুটবল লিগ আয়োজন হচ্ছে না। এজিএম শেষে এই নিয়ে একটু ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, “সবচেয়ে বড় সমস্যা জেলা নিয়ে। আমরা যে লিগ করি, এটা করতে ফিফা কিন্তু আমাকে বাধ্য করে না। তারপরও আমি এটা আয়োজন করি। এটাই আমার কাজ। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, অনেকে নিজেদের জেলায় লিগ করেন না, উনারা তাকিয়ে থাকেন আমাদের দিকে, আমরা কীভাবে সাহায্য করবো সেদিকে।”

জেলা লিগ আয়োজনে টাকার সংকটের বিষয়টি অবশ্য এড়িয়ে যাননি বাফুফে সভাপতি। তিনি উল্টো প্রশ্ন করে বলেন, টাকা না থাকলে কিভাবে দিবো?

বলেন, “এই সমস্যা এখনও সমাধান করতে পারছি না। কেননা, আমি আমার কাজ করতে পারি, তাদের কাজ করতে পারি না। আমি কেবল তাদের সাহায্য করতে পারি। তারা খালি টাকা চায়; আমিও টাকা চাই, তারাও টাকা চায়। আমার কাছে যখনই টাকা এসেছে, তাদেরকে দিয়েছি। এর আগে সরকারের কাছ থেকে যে টাকা এসেছিল তার ৫০ শতাংশ তাদের দিয়েছি। টাকা থাকলে তো টাকা দিবো, না থাকলে কীভাবে দিবো?”

এছাড়াও এজিএমে ছেলেদের ফুটবল নিয়ে আশার বাণী শুনিয়েছেন সালাউদ্দিন। বলেন, “কেউ তোলেনি (ফুটবলের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন)। আমিই বলেছি। সবশেষ সাফে মেয়েদের সাফল্যের কথা বলেছি। ছেলেদের দল নিয়ে কাজ হচ্ছে বলেও জানিয়েছি। আশা করি, ছেলেদের ফুটবলেও আমরা ফল পাবো।”

Link copied!