• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ রমজান ১৪৪৫

পয়মন্ত ভেন্যুতে ফর্মে ফেরা কোহলি


পার্থ প্রতীম রায়
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২২, ১০:৪১ পিএম
পয়মন্ত ভেন্যুতে ফর্মে ফেরা কোহলি

কোনো একবার সংবাদ সম্মেলনে বিরাট কোহলি নিজ মুখে বলেছিলেন মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম তার প্রিয় মাঠ। এক রাত পরই দীর্ঘ সাত বছর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মিরপুরের মাঠে দেখা মিলবে কোহলির। পয়মন্ত এই ভেন্যুতে নামার আগে কোহলি ফর্ম হারিয়ে নিজেকে খুঁজে ফেরা কোহলি ফিরেছেন রানে। পয়মন্ত ভেন্যুতে আরও একবার ব্যাটে রানের ফোয়ারা ফোঁটাতে পারেন কি-না সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

মিরপুরে কোহলির পরিসংখ্যান দেখলেই স্পষ্ট হবে কেন এই ভেন্যুকে তার জন্য পয়মন্ত বলা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ২৩ বার এই মাঠে ব্যাটিং করেছেন কোহলি। ৮ অর্ধশতক ও ৪ শতকে ৮৩.৮৬ গড়ে করেছেন ১২৫৮ রান। অথচ পুরো ক্যারিয়ারে তার ব্যাটিং গড় ৫২.৯২। মিরপুরের মাঠে কোহলি ব্যাটিংয়ে নামলেই তার ব্যাট হয়ে ওঠে তরবারি।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৭১ টি শতকের চারটি এসেছে এই মিরপুরে। শেরে বাংলায় করা চার সেঞ্চুরির অন্তত দুইটি কোহলির জীবনের অনেক বড় স্মৃতি, তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। সময় বিবেচনায় বাকি দু’টোর মূল্যও হয়তো কোহলির কাছে অনেক বড়।

কোহলির নামের পাশে ব্যক্তিগত সেরা সংগ্রহ হিসেবে জ্বলজ্বল করছে ১৮৩ রানের একটি ইনিংস। পাকিস্তানি বোলার ওয়াহাব রিয়াজকে মেরে ছাতু বানানোর ওই ইনিংস এখন পর্যন্ত হয়ে আছে কোহলির ব্যক্তিগত সেরা ইনিংস। ওই ম্যাচে পাকিস্তানকেও বেশ বড় ব্যবধানেই হারিয়েছিল ভারত।

এছাড়াও সিনিয়র ক্রিকেটের বিশ্বমঞ্চে কোহলির অভিষেক এই মিরপুরেই। ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সিনিয়র ক্রিকেটের বিশ্বমঞ্চে নাম লেখান কোহলি। ওই ম্যাচে টাইগারদের বিপক্ষে মাত্র ৮৩ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। যদিও ওই ম্যাচ এখনো ক্রিকেটপ্রেমীরা মনে রেখেছেন বীরেন্দ্র শেবাগের কল্যাণে। বাংলাদেশি বোলারদের তুলোধনা করে শেবাগ যে সেদিন খেলেছিলেন ১৭৫ রানের বিশাল ইনিংস। যদিও পরে ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্বিশতক করে ভাঙেন নিজের সেরা এই স্কোরের রেকর্ড।

এছাড়াও ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও মিরপুর কোহলিকে দিয়েছে দু’হাত ভরে। সেবার ভারত ফাইনাল খেললেও জিততে পারেনি শিরোপা। হাত ছোঁয়া দূরত্বে থাকলেও শিরোপা জিততে না পারার আক্ষেপ কোহলিকে দিয়েছিল মিরপুরই। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭২ রানের আলো ঝলমলে ইনিংসের কল্যাণেও শিরোপা হাতছাড়া হয়েছিল ভারতের। এর আগে সেমি-ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কোহলির ৭৭ রানের ইনিংসে ভর করেই উড়িয়ে দিয়েছিল ভারত।

মিরপুরে এতোসব সুখস্মৃতির মধ্যেও কোহলির আফসোস অবশ্য ওই অতটুকুই। তবুও কোহলি একটু চিন্তিত থাকতেই পারেন। কারণ, মিরপুরে সর্বশেষ তিন ম্যাচে তার ব্যাটে যে ছিল রানখরা। ২০১৫ সালে খেলা তিন ওয়ানডেতে কোহলির ব্যাটে এসেছিল মাত্র ৪৯ রান। ব্যাট হাতে এখনকার ফর্ম সেই বাধা না মানলে আরও একবার মিরপুর কোহলির আলোয় উদ্ভাসিত হবে এমনটা বলাই যায়। কিন্তু বাংলাদেশ তো বারবারই চাবে সর্বশেষ সিরিজের মতো নিষ্প্রভ থাকুক কোহলির ব্যাট।

Link copied!