ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই জয়-পরাজয়ের নিরিখে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে শ্রীলঙ্কা দল। তবে দুদলের মধ্যে সর্বশেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশ জয়লাভ করে, সেটাও আবার নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। ঐ জয়ই বুধবার থেকে শুরু হওয়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের জন্য বড় প্রেরণা।
টেস্টে শ্রীলঙ্কা ১৮টি ম্যাচে জিতেছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, সেখানে টাইগাররা মাত্র ১টিতে জয়লাভ করেছে। টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার ১১ জয়ের বিপরিতে বাংলাদেশের জয় মাত্র ৫টি। আর ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার যেখানে ৪২ জয়, সেখানে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র ১০টি ম্যাচে। সব ফরম্যাটেই লঙ্কানরা বেশ এগিয়ে রয়েছে।
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সর্বশেষ যে ওয়ানডে ম্যাচটিতে জিতেছে বাংলাদেশ দল, সেটা ছিল গত বছরের বিশ্বকাপে। ভারতের মাটিতে ঐ ম্যাচে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে জয়ী হয়েছিল। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ২৭৯ রানের জবাবে বাংলাদেশ ৪১.১ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮২ রান করে জয়ী হয়।
জয়ী হওয়া ঐ ম্যাচটিতে সাকিব আল হাসান দারুণ অলরাউন্ড পারফর্মেন্স করেন। তিনি ৬৫ বলে ৮২ রানের পাশাপাশি ২টি উইকেটও লাভ করেন। বাংলাদেশ দলের তানজিম সাকিব ৩টি এবং শরিফুল ইসলাম ২টি উইকেট শিকার করেন। আর নাজমুল হোসেন শান্ত ৯০ রান করেন। সাকিব ম্যাচসেরা হন। শ্রীলঙ্কার চারিথ আাসালাঙ্কার সেঞ্চুরি বিফলে যায়।
গত বিশ্বকাপের পর থেকে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার যে কোনো ক্রিকেট ম্যাচেই থাকছে বাড়তি উত্তেজনা। বিশ্বকাপ ম্যাচে সাকিবের হাতে টাইমড আউট হয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার অ্যাঞ্জেলো মাথুস। ঐ দুঃখজনক স্মৃতি এখনো ভুলতে পারেনি লঙ্কানরা। এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচেই দেখা গেছে, শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়রা বার বার বিভিন্ন ভঙ্গীতে বিশ্বকাপের সেই ক্ষোভ তুলে ধরেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওয়ানডে ও টেস্ট সিরেজেও ‘টাইমড আউট’ সংস্কৃতি অব্যাহত থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :