এশিয়া কাপে টিকে থাকার লড়াইয়ে লঙ্কানদের দেওয়া ২৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে দারুণ শুরু করার পর ব্যক্তিগত ২৮ রানে আউট হয়ে ফিরে যান মেহেদি হাসান মিরাজ। এরপর ধীরে খেলা নাঈম হোসেনও ফিরেন দ্রুত। প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৭ ওভারে ৩ উইকেটে ৭৪ রান।
২৫৮ রানের লক্ষ্য, নাঈম ও মিরাজ শুরু করেন দেখে শুনে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মিরাজ কিছুটা হাত খুলে খেললেও নাঈম ছিলেন না স্বাচ্ছন্দে। প্রথম পাওয়ারপ্লের ১০ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ৪৭ রান। এ সময়ে ৫১ রান তুলেছিল শ্রীলঙ্কা, দিমুথ করুনারত্নের উইকেট হারিয়ে।
এরপরিই ছন্দপতন বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। দলীয় ৫৫ রানের সময় বিদায় নেন মিরাজ। ২৯ বলে চার ৪ মিরাজ করেন ২৮ রান। লঙ্কানদের হয়ে এই অলরাউন্ডারের উইকেন নেন অধিনায়ক দাসুন সানাকা।
এরপর দলীয় ৬০ রানের সময় বিদায় আরেক ওপেনার নাঈম শেখের। শানাকার আরেকটি উইকেট। নাঈম বুঝেই উঠতে পারেননি সানাকার শর্ট বলটা। শেষ মুহূর্তে ব্যাট চালাতে গিয়েছিলেন, কিন্তু খাড়া ওপরে উঠেছে ক্যাচ। ৪৬ বলে ২১ রানের ইনিংসটি থামে নাঈমের।
আগের ম্যাচে দারুণ খেলা অধিনায়ক সাকিব আল হাসান উইকেটে এসে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মাথিসা পাতিরানার বলে আইট হবার আগে সাকিব করেন ৩ রান। দলীয় ৭০ রানের সময় সাবিক নেন বিদায়, রেখে যান দলকে চাপে।
এরআগে, লঙ্কানদের হয়ে ইনিংসের শুরুটা করতে আসেন দিমুথ করুনারত্নে ও পাতুম নিশাঙ্কা। শ্রীলঙ্কার হয়ে দারুণ একটা শুরু এনে দেন এই দুই ওপেনার। ওভার প্রতি প্রায় ৫.৫০ গড়ে রান তোলেন এই দুই ওপেনার। এরপর হাসান মাহমুদের আঘাত। ১৭ বলে ১৮ রান করা করুনারত্নকে ফেরান তিনি। দলীয় ৩৪ রানের সময় বিদায় নেন লঙ্কান এই ব্যাটার।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ক্রিজে আধিপত্য নিয়ে নেয় কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিসাঙ্কা। দুজন মিলে প্রায় ১৭ ওভার খেলে দলকে এনে দেন ৭৪ রান। অবশেষে ২৪তম ওভারে আক্রমণে এসে টাইগারদের লড়াইয়ে ফেরান শরিফুল। টাইগার পেসারের স্লোয়ার খেলতে ব্যর্থ হয়ে এলবিডব্লিউর শিকার হন নিসাঙ্কা। ৬০ বলে ৫ চারের মারে ৪০ রানে থামে তার ইনিংস। এক ওভার পর আবার আক্রমণে এসে শরিফুল ফেরান ২৯ রানে শামীম হোসেনের হাতে জীবন পাওয়া মেন্ডিসকে। থার্ড ম্যান অঞ্চলে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৭৩ বল মোকাবিলায় ৫০ রান করেন তিনি। ৬ চার ও ১ ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে।
দলীয় ১৪৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় লঙ্কানরা। হাসান-শরিফুলের পর উইকেটের দেখা পান তাসকিন। টাইগার পেসারের স্লোয়ার তুলে মারতে গিয়ে ব্যর্থ হন চারিথ আসালাঙ্কা। ২৩ বলে ১০ রান আসে আসালাঙ্কার ব্যাট থেকে। পঞ্চম উইকেট জুটিকে বড় হতে দেননি হাসান। ৩৮তম ওভারে করা তার প্রথম বল বুঝতে ভুল করে কট বিহাইন্ড হন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। ১৬ বলে ৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দাসুন শানাকা ও সাদিরা সামারাবিক্রমা মিলে উল্টো চাপ তৈরি করেন বাংলাদেশ শিবিরে। দুজন মিলে ৫৬ বল মোকাবিলা করে দলকে এনে দেন ৬০ রান। ৪৭তম ওভারে এসে শানাকাকে ফেরান হাসান। টাইগার পেসারকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে মারতে গিয়ে বোল্ড হন লঙ্কান অধিনায়ক। তার ব্যাট থেকে ৩২ বলে আসে ২৪ রান। কিন্তু তখনও থামেননি সামারাবিক্রমা। তিনি আউট হন একেবারে ইনিংসের শেষ বলে তাসকিনকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে। ৮ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংসটি।