ফিটনেস বাড়াতে সেনা প্রশিক্ষণে বাবর আজমরা

ওয়ানডে বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে হারের পর নতুন করে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ফিটনেস বিষয়টি সামনে এনেছিলেন দেশটির কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভীও ফিটনেস নিয়ে হার্ডলাইনে। ঘোষণা দিয়েছিলেন, ক্রিকেটারদের ফিটনেস বাড়াতে সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থার।

ট্রেনিংয়ের জন্য ২৯ জন ক্রিকেটারের নাম চূড়ান্ত হয়েছে। ২৫ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে ফিটনেস ট্রেনিং। আগামী ৮ এপ্রিল পর্যন্ত কাকুল সেনাবাহিনী ক্যাম্পে তা চলবে। অবসর ভেঙ্গে জাতীয় দলে ফেরার বার্তা দেওয়া ইমাদ ওয়াসিম ও মোহাম্মদ আমিরও থাকছেন ট্রেনিংয়ে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই ট্রেনিংয়ের আয়োজন।

নাকভি বলেন, ‘আমি যখন লাহোরে খেলা দেখছিলাম, আমার মনে হয় না তোমাদের মধ্যে (পাকিস্তানি ক্রিকেটার) কেউ গ্যালারিতে ছক্কা মেরেছো। যখনই এরকম কোনো ছক্কা মারা হয়েছে, আমার মনে হয়েছে বিদেশি কোনো খেলোয়াড় মেরেছে। আমি বোর্ডকে বলছিলাম, খেলোয়াড়দের ফিটনেস বাড়ানোর জন্য একটা পরিকল্পনা করতে।’

পিসিবি প্রধান নিজেই প্রশিক্ষণের সময় নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন, ‘আমাদের সামনে নিউজিল্যান্ড সিরিজ। এরপর আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ড সিরিজ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আমরা একটা সময় খুঁজে পেয়েছি। সেই সময়টাতে আমরা ক্যাম্পের আয়োজন করেছি। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তোমাদের প্রশিক্ষণে যুক্ত থাকবে এবং আশা করি তারা তোমাদের উপকার করবেন।’

এর আগে ২০১৬ সালে এমনই প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। 

ট্রেনিংয়ে ক্রিকেটারবৃন্দ: বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, সাইম আইয়ুব, ফখর জামান, সাহেবজাদা ফারহান, হাসিবুল্লাহ, সৌদ শাকিল, উসমান খান, মোহাম্মদ হারিস, সালমান আলি আগা, আজম খান, ইফতিখার আহমেদ, ইরফান খান, শাদাব খান, ইমাদ ওয়াসিম, উসামা মীর, মোহাম্মদ নেওয়াজ, মেহরান মুমতাজ, আবরার আহমেদ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, মোহাম্মদ আব্বাস আফ্রিদি, হাসান আলী, মোহাম্মদ আলী, জামান খান, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, আমির জামাল, হারিস রউফ ও মোহাম্মদ আমির।