• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

স্বপ্নের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ছুঁয়েছে নিউজিল্যান্ড


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২১, ০৭:৪৫ পিএম
স্বপ্নের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ছুঁয়েছে নিউজিল্যান্ড

ম্যাচের শেষ বাউন্ডারির পর যখন রস টেইলরের চোখে খুশির ঝলক, তখনো খুব বেশি প্রতিক্রিয়া দেখাননি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে অর্ধশতক পাওয়া অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন। তবে ততক্ষণে প্রথমবারের মতো আইসিসি ট্রফি পাওয়ার উচ্ছ্বাসে ভেসে যাচ্ছে কিউইদের সাজঘর। ভারত শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ার আভাস দিলেও যোগ্যতম দল হিসেবেই বৃষ্টিবিঘ্নিত টেস্টে জিতেছে নিউজিল্যান্ড। 

প্রথম দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর আশঙ্কা ছিল টেস্ট মাঠে গড়ানো নিয়ে। তবে দ্বিতীয় দিন যথারীতি টস হয় এবং নিউজিল্যান্ড প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই টেস্ট রিজার্ভ ডে পর্যন্ত গড়াবে এমন সম্ভাবনা তো ছিলই, সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছিল ড্রয়ের কথা। তবে পেসার কাইল জেমিসন তা হতে দেননি। নিজে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন, সঙ্গে ভারতকে চাপে রেখে সতীর্থ ট্রেন্ট বোল্ট ও নীল ওয়েগনারকে দুটি উইকেট নিতে সাহায্য করেছেন। ফলে প্রথম ইনিংসে ২১৭ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। 

ব্যাট করতে নেমে কিউইরাও বিপদে পড়ে। দুই পেসার মোহাম্মদ শামি ও ইশান্ত শর্মা যথাক্রমে ৪টি ও ৩টি উইকেট নেন। ডেভন কনওয়ের ৫৪, অধিনায়ক উইলিয়ামসনের ৪৯ এবং শেষে নেমে টিম সাউদির ৩০ রানে ভর করে সব কটি উইকেট হারিয়ে ৩২ রানে লিড পায় নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারত দিন কাটিয়ে দিতে চাইলেও শেষ দুই সেশনের আগে সব কটি উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান জমা করে স্কোরবোর্ডে। সাউদি এবার বল হাতে ৪ উইকেট ও ট্রেন্ট বোল্ট ৩ উইকেট নেন। 

১৩৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৩৩ ও ৪৪ রানে রবিচন্দন অশ্বিনের বলে দুই ওপেনারকে হারায় নিউজিল্যান্ড। সেই উইকেট ধসের আশঙ্কা সামলেছেন উইলিয়ামসন ও রস টেইলর। আগের ইনিংসের অর্ধশতকের আফসোস ঘোচানোর পাশাপাশি দলকে নিয়ে গেছেন জয়ের প্রান্তরে। তবে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৭ উইকেট নিয়ে জয়ের নায়ক জেমিসনই হয়েছেন ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়। 

২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপ তথা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর এই প্রথম স্বীকৃত কোনো আইসিসি ট্রফি জিতল নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্টরা যোগ্য দল হিসেবেই টেস্টের শিরোপা পেয়েছে। সবচেয়ে মর্যাদার আসর যত দিন থাকবে তত দিন নিউজিল্যান্ডের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে ইতিহাসে। 

Link copied!