ছয় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পুনরায় চালু হয়েছে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম সেবা। সোমবার রাতে সামাজিক মাধ্যমগুলো বিভ্রাটের মুখে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তারা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগব্যবস্থাও ভেঙে পড়ে।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ ও কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করলেও কী কারণে এই বিপর্যয়, তা নিশ্চিত করেননি তারা। যদিও ফেসবুকের কারিগরি বিভাগের প্রধান মাইক শ্রোফার জানান, নেটওয়ার্ক ত্রুটির কারণে এই বিপর্যয় সৃষ্টি হয়। তবে এতে গ্রাহকদের তথ্য কোনোভাবে ঝুঁকিতে পড়েনি বলে দাবি করছেন তিনি।
এদিকে মার্কিন নেটওয়ার্ক মনিটরিং কোম্পানি কেন্টিকের ইন্টারনেট বিশ্লেষক ডগ ম্যাডরি জানান, ফেসবুকের কোনো কর্মকর্তা কোম্পানির বর্ডার গেটওয়ে প্রটোকল (বিজিপি) আপডেট করার চেষ্টা করায় এই নেটওয়ার্ক ত্রুটি হতে পারে। মূলত বিজিপির মাধ্যমে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ওয়াবসাইটে গ্রাহকদের তথ্য আদান-প্রদানের ঠিকানা নির্ধারণ করে থাকে।
সহজ ভাষায়, নেটওয়ার্ক ত্রুটির ফলে গ্রাহকের কম্পিউটার বা ফোনের ফেসবুকের ঠিকানায় পৌঁছানোর দিকনির্দেশনা বন্ধ হয়ে যায়। তাই ব্রাউজার কিংবা অ্যাপগুলো ফেসবুক ডট কম ওয়েবসাইট বা ফেসবুকের অন্যান্য অ্যাপে প্রবেশের রাস্তা হারিয়ে যান্ত্রিক ত্রুটিসংবলিত একটি বার্তা দেখাতে থাকে।
অন্যদিকে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, কোটি কোটি ব্যবহারকারীর সঙ্গে একই ঝামেলায় পড়েন ফেসবুকের কর্মকর্তারাও। কেননা, তাদের অফিসের ফেসবুকের ই-মেইল থেকে শুরু করে অভ্যন্তরীণ সব সেবাই একই ডোমেইন দ্বারা পরিচালিত হয়।
আর তাই ফেসবুকের ফেসবুকের প্রকৌশলীরা নতুন বিজিপি নির্ধারণের জন্য তাদের কম্পিউটারের সার্ভারে প্রবেশ করতে পারছিলেন না। সে কারণেই সার্ভারের সংযোগ পুনরায় ফিরে পেতে ও গ্রাহকদের যুক্ত করতে ছয় ঘণ্টা সময় লেগেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০১৯ সালেও একই ধরনের সমস্যায় পড়ে ফেসবুক। সে সময় প্রায় ২৪ ঘণ্টা অফলাইনে ছিল সাইটটি।