রাজধানীর বেইলি রোডে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে রিকশা গুঁড়িয়ে দেওয়া সেই প্রাইভেটকার চালককে চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগ।
রোববার (২১ নভেম্বর) ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আল ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাফিজ আল ফারুক বলেন, “তাসকিনকে চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে তার পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর মগবাজারে থাকে। সে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র।”
এর আগে শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) বেইলি রোডে বেপরোয়া গতিতে চলা তাসকিনের প্রাইভেটকারের ধাক্কায় একটি রিকশা গুঁড়িয়ে যায়। এতে রিকশাচালক, আরোহী বাবা ও তার কোলের শিশু আহত হয়।
ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, তাসকিনের প্রাইভেটকারটি বেপরোয়া গতিতে রিকশাটিকে ধাক্কা দেওয়ার সঙ্গে সেটি গুঁড়িয়ে যায়। এ ঘটনায় রিকশায় থাকা যাত্রী ফখরুল হাসানের শিশুসন্তান তার হাত থেকে রাস্তা পড়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই শিশুর পা ভেঙে যায়। এছাড়া হাত ভাঙে ফখরুলের এবং আহত হয় রিকশাচালক। তবে ওই সময় পুলিশের একটি গাড়ি ঘটনাস্থলে থাকলেও প্রাইভেটকারটি আটকানো যায়নি।
গত দুই দিন থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি কালো রঙের প্রাইভেট কার বেপরোয়া গতিতে পেছন থেকে একটি চলন্ত রিকশাকে আঘাত করে। ফলে রিকশাচালক, আরোহী ও আরোহীর কোলে থাকা বাচ্চা ছিটকে পড়ে আহত হয়।
এ বিষয়ে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগ সূত্র জানায়, সাইবার পেট্রোলিংয়ের অংশ হিসেবে ভাইরাল ভিডিওটি তেজগাঁও বিভাগের নজরে আসে। পরে ডিসি তেজগাঁও বিল্পব কুমার সরকার তাৎক্ষণিকভাবে বিভাগের অফিসারকে প্রাইভেট কারটির চালককে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। পরে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাতিরঝিল থানা এলাকা থেকে (ঢাকা মেট্রো-গ-৩৫-২২৬৩) কালো রংয়ের প্রাইভেটকারটি হেফাজতে নেয় হাতিরঝিল থানা-পুলিশ।
অন্যদিকে রাত ৩টা ৪০ মিনিটে মেহেরপুর জেলা পুলিশের সহযোগিতায় চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানাধীন হাট বোয়ালিয়া নতুন বাজার এলাকা থেকে তাসকিনকে আটক করে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগ। আটক তাসকিনকে ঢাকায় আনা হচ্ছে।
এছাড়া দুর্ঘটনাস্থল শনাক্ত করে আটক তাসকিন ও প্রাইভেটকারটি সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠান হবে বলেও জানায় পুলিশ।