আমরা চেষ্টা করেছি সম্পূর্ণ ও পরিপূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের। কোনো রকমের কারও কথায় না, আইনের শাসনের মধ্যে থাকার চেষ্টা করেছি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্টকার্ড বিরতণ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, “একটা পদের জন্য নির্বাচন করেন সাতজন, পাস করে একজন। বাকি ছয়জনের সবাই তো বলে না, কিন্তু সমালোচনা তো হবেই। সমালোচনা হবে, ভালোমন্দ বলবে। এটা স্বভাবিক, এ দেশের কালচার অনুযায়ী স্বাভাবিক। আগেও বলেছি এখনও বলছি হয়ত ভবিষ্যতেও বলব আশা করি।”
আরেক প্রশ্নের জবাবে নূরুল হুদা বলেন, “আমি মনে করি সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছি। সবগুলো নির্বাচন শেষ করে দিয়েছি। একটা নির্বাচনও বাকি রাখিনি। ১০ তারিখ যেটা ছিল সেটার সময় হয়েছিল, সব নির্বাচন শেষ করে এবার আমরা পরিপূর্ণভাবে নির্বাচন শেষ করেছি।”
নির্বাচন সব সুষ্ঠু ছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, “না সব সুষ্ঠু হয়েছে তা নয়। মারামারি হয়েছে, কোথাও ব্যালট ছিনতাই হয়েছে আবার, ধরাও পড়েছে। নির্বাচন বন্ধ হয়েছে। আবার পুনরায় নির্বাচন হয়েছে। সুতরাং সবগুলো নির্বাচন পরিপূর্ণ সুষ্ঠু হয়েছে তা বলা যাবে না, কিছু নির্বাচন তো এমন হয়েছেই। আপনারাই (গণমাধ্যম) বলেন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে, প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হচ্ছে। শীতের দিনে রোদের মধ্যে নারী-পুরুষ লাইন দিয়ে ভোট দিচ্ছে, ৭০ শতাংশ ভোট দিচ্ছে, ইভিএমে ৭০ শতাংশ ভোট দিচ্ছে। এর চেয়ে সফল নির্বাচন আর কি হতে পারে।
এ সময় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের চিকিৎসা ব্যয় নিয়েও এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, “এগুলো ব্যক্তিগত পর্যায়ের কথা বার্তা আর বলব না।”