• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের মৃত্যু শূন্যে নেমে আসেনি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২৩, ০৭:১৫ পিএম
কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের মৃত্যু শূন্যে নেমে আসেনি
বুধবার (৩০ আগস্ট) ধানমন্ডির সিপিডি কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচকরা

দেশে ২০১৩ সালের পর রানা প্লাজার মতো বড় দুর্ঘটনা আর ঘটেনি। যা আমাদের জন্য বড় একটি অর্জন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দুর্ঘটনা বেড়েছে। কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের মৃত্যু এখনও শূন্যে নেমে আসেনি। ফায়ার সার্ভিস টিমের তথ্যানুযায়ী, ২০২০ সালে ১৭৭টি  গার্মেন্টসে অগ্নি দুর্ঘটনা হয়। পরবর্তী ২০২২ সালে হয় ২৪১টি।

বুধবার (৩০ আগস্ট) ধানমন্ডির কার্যালয়ে এক সম্মেলনে বিষয়গুলো গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেন, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)’র গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। ‘তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা : অর্জন ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এই সম্মেলনের আয়োজন করে সিপিডি।

সম্মেলনে গবেষক মোয়াজ্জেম বলেন, “দেশের কারখানাগুলোর মনিটরিং (পর্যবেক্ষণ) কাঠামো দুই ধরনের। একটি সরকারি খাতকেন্দ্রিক ও অপরটি বেসরকারি খাতকেন্দ্রিক। মনিটরিংয়ের আওতায় থাকলেও, সেসব কারখানাগুলোতে দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও চলতি বছরের ১ মে একটি কারখানার ভেতরে অগ্নিদগ্ধ হয় ১৮ জন শ্রমিক। তার আগে একই বছরে কারখানার দেয়াল ভেঙে ১ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ২০১৯ সালে কারখানার ভেতরে দুর্ঘটনায় ২ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। আর ২০২২ সালে এই সংখ্যা বেড়ে হয় ৪ জন। এই চিত্র বলে দেয় কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের মৃত্যু শূন্যে নেমে আসেনি।”

তিনি আরও বলেন, “যেসব কারখানায় শতভাগ প্রতিকার নেই, সেগুলোতে দুর্ঘটনার প্রবণতা রয়ে গেছে। বাংলাদেশে সেফটি মনিটরিং (নিরাপদ পর্যবেক্ষণ) এর জন্য করণীয় হলো, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে আরও শক্তিশালী হতে হবে। আমরা মনে করি, মনিটরিংয়ের কাজটুকু যে শুধু কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকেই করতে হবে তা নয়। তার অনুমতি নিয়ে বেসরকারি খাতে প্রাইভেট এজেন্সিগুলো এ কাজটি করতে পারে। যে সমস্ত কারখানাগুলো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, এগুলোকে বন্ধ বা স্থগিত করার ক্ষমতা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে দেওয়া হয়। সরকার যে ডিজিটাল ও স্মার্ট সিস্টেমের উত্তরণ ঘটাতে যাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে অবশ্যই বীমার পদ্ধতির সফলতা আসতে হবে। এই বীমা প্রতিষ্ঠান, শ্রমিক এবং সংশ্লিষ্টরা এটি ব্যবহার করছে কি না, তা নিশ্চিত হতে হবে।”

Link copied!