সরকারি একটি সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ মানুষের তথ্য ফাঁসের ঘটনাটি হ্যাক নয়, বরং সিস্টেমের দুর্বলতার কারণে ঘটেছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেছেন, “এই দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা চলছে।”
রোববার (৯ জুলাই) সকালে বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারি কোনো ওয়েবসাইট হ্যাক হয়নি জানিয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “ওয়েবসাইটের দুর্বলতার জন্য নাগরিকদের তথ্য উন্মুক্ত ছিল। এ সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা চলছে। ওয়েবসাইটের দুর্বলতার কারণে যে কেউ ব্যক্তিগত তথ্য দেখার সুযোগ পেয়ে যান, এই দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।”
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, “অর্থের পাশাপাশি তথ্যের নিরাপত্তা এখন সবচেয়ে বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে। আমরা বারবার এটা বলার পর আমরা তথ্য সুরক্ষায় ব্যক্তিগত, প্রাতিষ্ঠানিক, শ্রেণিবদ্ধ, এক্সক্লুসিভ হিসেবে শ্রেণিবিন্যাস করেছি। বারবার তাদের জেনারেল গাইডলাইন মেনে চলতে বলেছি।”
তিনি আরও বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এক্সটার্নাল অডিট, মিনিমাম পেনিট্রেশন ও ভালনারেবল টেস্ট করার কথা বলেছি। কিন্তু তা মানা হয়নি। ন্যূনতম ব্যবস্থাও নেয়নি। তাই এই দায় এড়ানো সম্ভব নয়। এতে দেশের বড় ক্ষতি হচ্ছে।”
যারা দায়িত্বে অবহেলা করেছেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান পলক।
এদিকে নাগরিকদের তথ্য ফাঁসের বিষয়ে সোমবার (১০ জুলাই) বৈঠক ডেকেছে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ।
এর আগে, বাংলাদেশ সরকারের একটি ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ নাগরিকের তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে খবর দেয় প্রযুক্তিবিষয়ক খ্যাতনামা ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চ। এসব তথ্যের মধ্যে নাগরিকের সম্পূর্ণ নাম, ফোন নম্বর, ন্যূনতম ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর রয়েছে।
গত ২৭ জুন এই তথ্য ফাঁসের বিষয়টি বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটির গবেষক ভিক্টর মার্কোপোলোস ঘটনাক্রমে আবিষ্কার করেন বলে ৭ জুলাই রাতে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে টেকক্রাঞ্চ।
আপনার মতামত লিখুন :