• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

আজ ভোটের দিন


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৪, ০৭:৫৯ এএম
আজ ভোটের দিন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু। ছবি : সংগৃহীত

আজ রোববার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। দিনভর ভোট নেওয়ার পর রাতে ভোটের ফলাফল আসতে শুরু করবে। প্রায় দুই হাজার প্রার্থীর সবাই আশা করছেন সংসদ সদস্য হবেন, সংসদে যাবেন। চিরবৈরী বিএনপি ভোট বর্জন করায় আওয়ামী লীগই যে ভোটে জিতে টানা চতুর্থবার ক্ষমতায় যাচ্ছে, তা প্রায় নিশ্চিত।

জাতীয় সংসদের ৩০০ সাধারণ আসনের মধ্যে ২৯৯ আসনে আজ ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন মোট ১ হাজার ৯৬৯ প্রার্থী। তাদের মধ্যে ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। নওগাঁ-২ আসনে একজন বৈধ প্রার্থী মারা যাওয়ায় সেখানে ভোট গ্রহণ বাতিল করা হয়।

নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ অংশ নিচ্ছে মোট ২৮টি রাজনৈতিক দল। কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনে ২৯৯টি সংসদীয় আসনে ১ হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২৮টি রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৫৩৪ জন প্রার্থী। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে আছেন ৪৩৬ জন। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী ২৬৬ জন, জাতীয় পার্টির ২৬৫, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ১৩৫ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ৬৬ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১২২ জন, জাতীয় পার্টির (জেপি) ১৩ জন, বিকল্পধারা বাংলাদেশের ১০ জন প্রার্থী রয়েছেন। নির্বাচনে নারী প্রার্থী হিসেবে রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯০ জন। আর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী অন্যান্য মিলে ৭৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সর্বাধিক সংখ্যক প্রার্থী এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। উৎসবমুখর ভোট হবে এটাই আশা।’ তিনি ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে এসে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানান।

যেকোনো মূল্যে এবারের নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে হবে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এজন্য ইসির পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে এসে নির্ভয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন, সেজন্য পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের দৃষ্টি আজ কেন্দ্রে কেন্দ্রে যত বেশি সম্ভব ভোটার আনা। বিরোধীরা আছে উল্টো কৌশলে। নাগরিকদের ভোট বর্জন ডাক দিয়ে চলেছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে এবারের নির্বাচন নিয়ে আগামী দিনের প্রত্যাশার পাশাপাশি কিছু আশঙ্কার দিকও আছে বলে মনে করছেন দেশি-বিদেশি রাজনীতিক ও বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ।

ভোটে জিতে সরকারের ধারাবাহিকতার মাধ্যমে দেশে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর প্রচারে জোর দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলের একাধিক নেতা জানান, আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে, এটা সুস্পষ্ট। শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন। এতে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।

এই ভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশে ‘অস্বাভাবিক স্থিতিশীলতা’ আসতে যাচ্ছে বলে মনে করেন মার্কিন বিশেষজ্ঞ মাইকেল কুগেলম্যান। ওয়াশিংটনের দ্য উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের এই পরিচালক কয়েক দিন আগে ফরেন পলিসি ম্যাগাজিনে লিখেছেন, ক্ষমতাসীনদের প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশে ও পশ্চিমা বিশ্বে অনেকের উদ্বেগের কারণ হবে। আবার এই জয়কে দক্ষিণ এশিয়ার কিছু দেশ হয়তো স্বাগত জানাবে।

কুগেলম্যান বলেন, ভোটারের অংশগ্রহণ কেমন হবে, সহিংসতা হয় কি না, ভোটের পর বিরোধীরা কী করবে, আন্দোলনকে তারা কত দূর টেনে নিতে পারে, এমন অনেক কিছুর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া নির্ভর করবে।

এবারের ভোটের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও নজর রাখছে পশ্চিমা কয়েকটি দেশ, ভারত, চীন ও রাশিয়ান। ভারত, চীন ও রাশিয়া প্রকাশ্যে মার্কিন অবস্থানের বিরুদ্ধে যাওয়া সরকারের জন্য কিঞ্চিৎ হলেও স্বস্তির বলে মনে করেন কেউ কেউ।

Link copied!