বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ভাটারা থানার এনামুল হক হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন না পেয়ে এজলাসে কাঁদলেন চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া।
সোমবার (১৯ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের আদালতে কান্না করেন তিনি। এদিন সকাল সাড়ে ৮টায় তাকে হাজতখানায় হাজির করে পুলিশ। এরপর বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট ও হাতকড়া পরিয়ে সকাল ১০টায় তাকে দ্বিতীয় তলায় ২৭ নম্বর কোর্টে তোলা হয়। পরে সকাল ১০টা ৫ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। শুনানি চলাকালীন তিনি আদালতের কাঠগড়ার সামনের অংশে ছিলেন। শুনানি শেষে সকাল ১০টা ২৮ মিনিটে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তখন তার চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। তার চোখ মুখ লাল হয়ে যায়।
এর আগে গতকাল রোববার (১৮ মে) দুপুরে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নুসরাত ফারিয়াকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে তাকে ভাটারা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাজধানীর ভাটারা থানার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় নুসরাত ফারিয়াকে।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন রাজধানী ঢাকার ভাটারা থানা এলাকায় হওয়া এক হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া, অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, আশনা হাবিব ভাবনা, চিত্রনায়ক জায়েদ খানসহ ১৭ অভিনয় শিল্পীকে আসামি করা হয়।
গত ২৮ এপ্রিল আদালতের আদেশের পরদিন ভাটারা থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়। মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্থ জোগানদাতা হিসেবে আসামি করা হয়েছে নুসরাত ফারিয়াকে।
রেডিও জকি (আরজে) হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন নুসরাত ফারিয়া। এরপর ২০১৩ সালে নাম লেখান উপস্থাপক হিসেবে। কয়েকটি নাটকেও অভিনয় করেন। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার আশিকী সিনেমায় বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার। প্রথম সিনেমাতেই সাড়া ফেলে দেন তিনি। এরপর ঢালিউড ও টালিউড মিলিয়ে প্রায় ২০টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।