যে কোনো ধরনের উসকানিমূলক কার্যকলাপ, জনস্বার্থবিরোধী আচরণ কিংবা বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন করতে পারে, এমন কর্মকাণ্ড কখনোই কাম্য নয় বলে বিবৃতি দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
রোববার (১৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে বরখাস্ত ও অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাবেক সেনা সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল, শাস্তি মওকুফ ও আর্থিক ক্ষতিপূরণসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে বিবৃতিতে দিয়েছে আইএসপিআর।
এতে বলা হয়, শান্তিপূর্ণ সমাধানের উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর একটি প্রতিনিধিদল প্রেসক্লাবে গিয়ে তাদের বক্তব্য শোনেন। সেনাবাহিনীর প্রচলিত বিধান অনুসারে দাবি-দাওয়া যাচাই ও সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।
তবে রোববার কিছু অনভিপ্রেত আচরণ এই সুশৃঙ্খল বাহিনীর ঐতিহ্য ও মূল্যবোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগ কোনো তৃতীয় পক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে না পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সরাসরি উপস্থাপনের পরামর্শও ওই প্রতিনিধিদল দিয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
তবে পর পর ২ বার সফল বৈঠক শেষে সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিদল ফেরত যাওয়ার সময় কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল বরখাস্তকৃত সেনা সদস্যদের উসকানিতে তাদের গাড়ির সামনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং অশ্রাব্য ভাষায় স্লোগান দেওয়া হয়।
সারা দিনজুড়ে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সহমর্মিতার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালালেও এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিছুসংখ্যক বিশৃঙ্খল সাবেক সদস্যকে ছত্রভঙ্গ করতে বাধ্য হয় বলে সংবাদ বিবৃতিতে জানিয়েছে আইএসপিআর।
সেনাবাহিনী সংবেদনশীলতার সঙ্গে বিষয়টি বিবেচনা করছে বলেও উল্লেখ করেছে আইএসপিআর।
সাংবিধানিক কাঠামো ও শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে দায়িত্বশীল আচরণ করতে সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
আইএসপিআর জানিয়েছে, গত ১৪ মে এ ধরনের মোট ৮০২টি আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। যার মধ্যে ১০৬টি আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে। বাকি আবেদনগুলো প্রক্রিয়াধীন।