• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনৈতিক অস্থিরতায় ভালো নেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা


মো. মির হোসেন সরকার
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২৩, ০২:০২ পিএম
রাজনৈতিক অস্থিরতায় ভালো নেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। ছবি সংবাদ প্রকাশ

রাজনৈতিক এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ভালো নেই রাজধানী ঢাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা টানা হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিতে সড়কে সাধারণ মানুষের আনাগোনা কমে যাওয়ায় ব্যবসায় মন্দা পরিস্থিতি তাদের। একদিকে যেমন আয় কমছে, অন্যদিকে খাদ্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে সংসার চালানোই  এখন তাদের ‘সংগ্রাম’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কয়েকজন ছোট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংবাদ প্রকাশের কথা হলে তারা জানান, স্বাভাবিক দিনের তুলনায় হরতাল-অবরোধে ব্যবসায় খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সড়কে সাধারণ মানুষ কম থাকায় বেচাকেনা কমে গেছে। আবার যেটুকু বেচাকেনা করা যায় তাতে লাভের পরিমাণ কম হওয়ায় পরিবার নিয়ে চলা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজ, আলু, রসুন বিক্রেতা ব্যবসায়ী স্বপন শেখ সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “হরতাল-অবরোধ হলে বেচাকেনা কমে যায়। লোকজন বাজারে আসে কম। বাজারে জিনিসের দাম কম হলেও লোকজন না থাকলে কার কাছে পণ্য বিক্রি করবো।”

মহাখালী বাস টার্মিনালে পান, সিগারেট, চকলেট বিক্রি করে সংসার চালান ষাটোর্ধ্ব মো. মশিউর রহমান (ছদ্মনাম)। স্বাভাবিক দিনে দৈনিক আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা বিক্রি হয় তার। কিন্তু হরতাল-অবরোধে সেই বিক্রি কমে যায়।

মো. মশিউর রহমান বলেন, “লোকজন কম। বেচাকেনা কীভাবে করবো। মানুষদের টার্মিনালে দেখাই যায় না। আগে যেমন বেচাকেনা হত, এখন তেমনও বেচাকেনা হয় না।”

এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আরও বলেন, “দৈনিক যদি দুই হাজার টাকার সিগারেট বিক্রি হয়, তাতে লাভ হয় ২০০ টাকা। আর পান বিক্রি করে কয় টাকা লাভ করা যায় বলেন। এখন সবকিছুর দাম যে হারে বাড়ছে তাতে এই কয় টাকা দিয়ে কি আর সংসার চলবে। আমাদের ব্যবসার হালচাল খারাপ। আমরা কিভাবে বাঁচবো সেটা চিন্তা করি সবসময়।”

গাবতলী বাস টার্মিনালে স্বাভাবিক দিনে খাবারের দোকানগুলোতে যাত্রীরা ভিড় করলেও এখন সেই ভিড় কমে গেছে। এর প্রধান কারণ হিসেবে হরতাল-অবরোধকেই দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।

এক হোটেল মালিক বলেন, “সকালে দোকান খুললে সারাদিন ঢিলেঢালাভাবে বেচাকেনা হয়। যেদিন হরতাল থাকে না, সেদিন একটু বেচাকেনা করতে পারি। তবে আগের থেকে বেচাকেনা কমে গেছে।”

তিনি আরও বলেন, “ভাত, মুরগির মাংস, মাছ যা আনি সারা দিনে তাও বিক্রি করতে পারি না। সকালে পরোটা বিক্রি করে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাত বিক্রি করা যায়। এখন মানুষ খুব কমই খাচ্ছে। যা খাবার যায় তার বেশিরভাগই এখানকার গাড়ি চালক, হেলপার, দোকানদার, গাড়ি শ্রমিক সমিতির লোকজন খায়।”
 

Link copied!