• ঢাকা
  • বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অবরোধে চাঞ্চল্য নেই ব্যাংকপাড়ায়


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২৩, ০৪:১৯ পিএম
অবরোধে চাঞ্চল্য নেই ব্যাংকপাড়ায়
প্রতীকী ছবি

মঙ্গলবার থেকে বিএনপির ডাকা টানা তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচির শেষ দিন আজ বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর)। এই তিনদিন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকলেও মতিঝিলের ব্যাংকপাড়া ছিল অনেকটাই কর্মচাঞ্চল্যহীন।

শুধু মতিঝিলের ব্যাংকপাড়া নয়, রাজধানীর অনেক ব্যাংকেই ছিলো না তেমন গ্রাহকের উপস্থিতি। আবার কিছু গ্রাহক এলেও তা অন্য স্বাভাবিক দিনগুলোর তুলনায় একেবারে নগণ্য। ফলে গ্রাহক সংখ্যা কম থাকায় অলস সময় পার করছেন সেবা কাউন্টারের কর্মকর্তারা। 

তারা বলছেন, অবরোধে সাধারণ মানুষ বাহিরে বের না হওয়ায় গ্রাহকরা ব্যাংকে আসছেন না। আবার যারা অফিস করছেন, এই অবরোধে তারাও আপাতত ব্যাংক সেক্টর এড়িয়ে চলছেন।

জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি’র এক কর্মকর্তা সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “বিএনপির ডাকা এই তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচিতে আগের দুইদিন রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। একইসঙ্গে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনাও ঘটেছে। যা সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেকটা ভীতি তৈরি হয়েছে। আসলে কেউ চায় না, অবরোধে সহিংসতার মধ্যে পড়ুক।”

তিনি আরও বলেন, “স্বাভাবিক দিনের তুলনায় অবরোধের এই তিনদিন গ্রাহক কম ছিলো। যদিও ব্যাংকে মানুষ এসেছে, তবে তুলনামূলকভাবে কম। শুক্রবার ও পরদিন শনিবার ব্যাংক বন্ধ। তাই আমরা আশা করছি, রোববার থেকে আবারও আগের মতো গ্রাহক আসবে ব্যাংকে।

রাজধানীর উত্তরায় গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি’র একটি এটিএম বুথে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কর্মরত আছেন মো. নাঈম শেখ (ছদ্মনাম)। এটিএম বুথে তেমন গ্রাহক না থাকায় মোবাইল আর পায়চারি করেই সময় পার করছেন তিনি।

মো. নাঈম শেখ (ছদ্মনাম) এর সঙ্গে কথা হলে তিনি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “আমাদের এই এটিএম বুথে গ্রাহক সবসময়ই বেশি। এমনও হয়েছে লম্বা লাইন হয়েছে। তবে আগের দিনগুলোর তুলনায় এই তিনদিন আমি দেখেছি এটিএম বুথে লোকজন কম এসেছে।”

জানা গেছে, বিএনপির ডাকা ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ ঘিরে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হলে তারা আবার তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির আহ্বান করে। তিন দিনের এই অবরোধে দেশের ব্যাংক খাতসহ আরও অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানে এর প্রভাব পড়ে।

Link copied!