প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) নয়াদিল্লীতে গণমাধ্যমকে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আব্দুল মোমেন বলেন, “বাংলাদেশে আসন্ন সাধারণ নির্বাচন এবং ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যু নিয়ে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি।”
বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলে কেউ অস্থিতিশীলতা চায় না উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ ২০০১ সালের পরের খারাপ সময়ে ফিরে যেতে চায় না, যখন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেছিল। এ ছাড়া সারা দেশে বোমা হামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও আদালত কক্ষে বিচারকদের ওপর বোমা হামলা হয়েছিল।”
আব্দুল মোমেন আরও বলেন, “বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে দেশের মানুষ খুশি। আসন্ন সাধারণ নির্বাচন নিরপেক্ষ, বিশ্বাসযোগ্য, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত করতে সবাইকে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। আগামী নির্বাচনে কেউ কারচুপির চেষ্টা করলে জনগণ প্রতিহত করবে।”
এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই নেতা রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য ও সংযোগ, পানি সম্পদ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, উন্নয়ন সহযোগিতা, সাংস্কৃতি এবং মানুষে-মানুষে বন্ধনসহ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ অঞ্চলের বর্তমান উন্নয়ন এবং বহুপাক্ষিক ফোরামের সহযোগিতা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
এর আগে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার বিকেলে দিল্লিতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।